বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: হাদিসের বিখ্যাত গ্রন্থ সুনানে তিরমিজিতে সংকলিত, ‘যে ব্যক্তি কুরআনের একটি অক্ষর পড়বে; সে একটি নেকি পাবে। আর একটি নেকি হবে দশটি নেকির সমান।’ এ হাদিস ছাড়াও অসংখ্য হাদিস থেকে প্রমাণিত কুরআন তেলাওয়াত অনেক ফজিলতপূর্ণ ইবাদত।
আল্লাহ তাআলা প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সুবিন্যস্ত ও স্পষ্টভাবে কুরআনুল কারিম তেলাওয়াত করার নির্দেশ প্রদান করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে বস্রাবৃত! আপনি রাতে দণ্ডায়মান হোন কিছু অংশ বাদ; অর্ধরাত অথবা তদপেক্ষা কিছু কম; অথবা তদপেক্ষা বেশি এবং কুরআন আবৃত্তি করুন সুবিন্যস্তভাবে ও সুস্পষ্টভাবে।’ (সুরা মুয্যাম্মিল : আয়াত ১-৪)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও সুবিন্যস্ত ও সুস্পষ্টভাবে কুরআন তেলাওয়াত করতেন। কুরআন তেলাওয়াত প্রসঙ্গে হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে-
‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন কুরআন তেলাওয়াত করতেন; তখন রহমতের বর্ণনাযুক্ত কোনো আয়াত তেলাওয়াত করলে তিনি থেমে যেতেন এবং আল্লাহ তাআলার নিকট রহমত কামনা করতেন।
আবার যখন আজাব বা শাস্তির আয়াত তেলাওয়াত করতেন; তখনও তিনি থেমে যেতেন এবং আল্লাহর নিকট (কুরআনে ঘোষিত) শাস্তি থেকে আশ্রয় লাভের প্রার্থনা করতেন।’
বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কুরআন তেলাওয়াতের সময় করণীয়গুলো উম্মতের মুহাম্মাদির জন্য অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় আদর্শ।
সুতরাং রহমতের আয়াত তেলাওয়াত করার সময় আল্লাহ তাআলার নিকট তাঁর অফুরন্ত রহমত কামনা করা এবং শাস্তির আয়াত তেলাওয়াতের সময় তাঁর শাস্তি থেকে আশ্রয় লাভে প্রার্থনা করা উম্মতে মুহাম্মাদির জন্য বিশ্বনবির সুমহান শিক্ষা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সুন্দর সুবিন্যস্ত ও সুস্পষ্টভাবে কুরআন তেলাওয়াত করার তাওফিক দান করুন। কুরআন তেলাওয়াতে বিশ্বনবির রহমত কামনা ও আশ্রয় লাভের শেখানো আমলটি বাস্তবায়ন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
বাংলা৭১নিউজ/এম