সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৬:১৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
টস জিতে জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো বাংলাদেশ ছয় মাসে রাজস্ব আহরণ বেড়েছে ১৩.৯ শতাংশ: অর্থমন্ত্রী সোনার দাম আরও বাড়লো ব্যর্থতা ঝেড়ে বিশ্বকাপ রঙিন করার প্রত্যাশা জ্যোতির পালিয়ে বাংলাদেশে এলেন আরও ৮৮ বিজিপি সদস্য এবি ব্যাংক পিএলসি যশোরে স্মার্ট কার্ডে নারী উদ্যোক্তা ঋণ স্মরণে বঙ্গবন্ধু ঢাকায় আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপে তীব্র তাপপ্রবাহের পর হবিগঞ্জে ঝড়-শিলাবৃষ্টি গুচ্ছের বি ইউনিটের ফল প্রকাশ তাপপ্রবাহ এবারই শেষ নয়, প্রস্তুতি শুরুর পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হাওরের প্রায় শতভাগ বোরো ধান কাটা শেষ ২৪ ঘণ্টায়ও নেভেনি সুন্দরবনের আগুন, সময় লাগবে ২-৩ দিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ সরকারি সফরে অস্ট্রেলিয়া গেলেন বিমান বাহিনী প্রধান সরকার তৃণমূল মানুষের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে : প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকের উপর হামলা, প্রতিবাদে ক্র্যাবের মানববন্ধন উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করুন: রিজভী গ্যাস পাচ্ছেন গোপালগঞ্জবাসী অপারেশনের নামে হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ পেতেন মিল্টন সমাদ্দার আশ্রমকাণ্ডে দায় এড়াতে পারেন না মিল্টনের স্ত্রী

বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তমাল কারাগারে

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় সোমবার, ২৫ জুন, ২০১৮
  • ৩৯৩ বার পড়া হয়েছে
ফাইল ছবি

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: পুরান ঢাকার দর্জি দোকানি বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বগুড়ার সেওজ আমতলা গ্রামের তারেক বিন জোহর ওরফে তমালকে কারাগারে পাছিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এ আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করেন তমাল। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুর রহমান সরদার আসামির জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর ওই আদেশ দেন। তমাল মামলার শুরু থেকে পলাতক ছিলেন।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ১৮ দলীয় জোটের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে পথচারী বিশ্বজিৎ দাসকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যাল শাখা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মীরা নির্মমভাবে পেটায় ও কোপান। বাঁচার জন্য দৌঁড় দিলে তিনি শাঁখারীবাজারের রাস্তার মুখে পড়ে যান। রিকশাচালক রিপন তাকে রিকশায় তুলে মিডফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক বিশ্বজিৎকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার সময় বিশ্বজিৎ লক্ষীবাজারের বাসা থেকে শাঁখারীবাজারে নিজের দর্জি দোকানে যাচ্ছিলেন। হত্যার ঘটনায় ওই রাতে সূত্রাপুর থানার এসআই জালাল আহমেদ অজ্ঞতনামা ২৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরদিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে হাইকোর্টের একটি বেঞ্জ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ওই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। এরপর কয়েকজন আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পরে মামলাটি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়। তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৫ মার্চ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ২১ জন কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক তাজুল ইসলাম। ২০১৩ সালের ২ জুন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করেন।

এ মামলায় বিশ্বজিতের বাবাসহ ৩২ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়। ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আট আসামির ফাঁসি ও ১৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদ-াদেশ দেয়া হয়।

বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় ফাঁসির আদেশ পাওয়া আট আসমি হলেন- পটুয়াখালীর মো. রফিকুল ইসলাম ওরফে শাকিল, ভোলা জেলার দৌলতখান থানার পশ্চিম জয়নগর গ্রামের মাহফুজুর রহমান ওরফে নাহিদ, যশোরের শার্শা থানার কাইবা পূর্ব পাড়ার এমদাদুল হক ওরফে এমদাদ, খুলনা জেলার পাইকগাছা থানার নাসিরপুর কলেজরোডের জিএম রাশেদুজ্জামান ওরফে শাওন, নরসিংদি জেলার মনোহরদী থানার চন্দনবাড়ীর সাইফুল ইসলাম ওরফে সাইফুল, কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার বাড়িয়াচারার কাইয়ুম মিঞা ওরফে টিপু, নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা থানার মনতলা গ্রামের রাজন তালুকদার ও রংপুর জেলার পীরগাছা থানার সুলিপাড়া গ্রামের মীর মো. নূরে আলম ওরফে লিমন।

আর যাবজ্জীবন কারাদ- পাওয়া আসামিরা হলেন- মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার রাজুইর গ্রামের গোলাম মোস্তফা ওরফে মোস্তফা, বরিশাল জেলার আগৈলঝড়া থানার চেংগুটিয়া গ্রামের এএইচএম কিবরিয়া, মাগুড়ার গাংনালিয়া গ্রামের খন্দকার মো. ইউনুস আলী ওরফে ইউনুস, বগুড়ার সেওজ আমতলা গ্রামের তারেক বিন জোহর ওরফে তমাল, পঞ্জগড় জেলার অটোয়ারী থানার ছোটধাপ গ্রামের মো. আলাউদ্দিন, নোয়াখালির হাতিয়া থানার চর কৈলাশ গ্রামের ওবায়দুর কাদের তাহসিন, ফরিদপুর সদর থানার চর চাঁদপুর গ্রামের ইমরান হোসেন ওরফে ইমরান, খুলনার খানজাহান আলী থানার বড়বাড়ী মধ্যপাড়ার আজিজুর রহমান ওরফে আজিজ, মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার সাতবাড়ীয়ার আল আমিন শেখ, নড়াইল কল্যাণখালীর মো. রফিকুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানার মধ্যপাড়া মোলাবাড়ীর মনিরুল হক ওরফে পাভেল, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার মধ্যপাড়া দানুমোলার বাড়ীর কামরুল হাসান ও কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানার শ্রীনগরের মোশাররফ হোসেন ওরফে মোশাররফ।

এদিকে গত বছরের ৬ অগাস্ট হাইকোর্ট নিম্ন আদালতে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আট আসামির মধ্যে দুজনের মৃত্যুদ- বহাল ও চারজনের মৃত্যুদ- পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন এবং অপর দুজনকে খালাস দিয়ে রায় দেন। আর যাবজ্জীবন কারাদ-প্রাপ্ত ১৩ আসামির মধ্যে আপিল করে খালাস পেয়েছেন দুজন।

সাইফুল ইসলাম ও কাইয়ুম মিয়া নি¤œ আদালতে মৃত্যুদ- পেলেও হাইকোর্টে খালাস পেয়েছেন। মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আট আসামির মধ্যে যাবজ্জীবন কারাদ-প্রাপ্ত চার আসামি হলেনÑ মাহফুজুর রহমান ওরফে নাহিদ, রাশেদুজ্জামান ওরফে শাওন, ইমদাদুল হক ও নূরে আলম ওরফে লিমন (পলাতক)।

মৃত্যুদ- বহাল রাখা হয় রফিকুল ইসলাম ওরফে শাকিল ও রাজন তালুকদারের (পলাতক)। অপরদিকে নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন কারাদ-প্রাপ্ত ১৩ আসামির মধ্যে এইচএম কিবরিয়া ও গোলাম মোস্তফা হাইকোর্ট থেকে খালাস পান। বাকি ১১ জনই পলাতক রয়েছেন। পলাতকদের মধ্যে তমাল আত্মসমর্পণ করলেন।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com