বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: কাল থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ক্রীড়া উৎসব ফুটবল বিশ্বকাপ–যেটিকে গ্রেটেস্ট শো অন দা আর্থ বলা হয়।
সব প্রস্তুতি শেষ হয়ে এখন ক্ষণগণনা চলছে বিশ্বকাপের।
অংশগ্রহণকারী দলগুলোর পাশাপাশি এসব দেশের হাজার হাজার সমর্থকও ইতোমধ্যেই পৌঁছে গেছেন মস্কোতে।
এর বাইরেও বাংলাদেশসহ অনেক দেশ থেকেই সাংবাদিক ও দর্শক গেছেন রাশিয়ায়।
ফুটবল বিশ্বকাপ কাভার করতে বাংলাদেশী সাংবাদিক শামীম চৌধুরী এখন মস্কোতে।
মস্কো থেকে শামীম চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন যে মস্কোসহ রাশিয়ার শহরগুলো ইতোমধ্যেই বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে।
“লাতিন দেশগুলো থেকে প্রচুর মানুষ এসেছে। ফ্যান ফেস্টে আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে, কলাম্বিয়া, পেরু-এসব দেশ থেকে বেশি এসেছে মানুষ”।
এর মধ্যেই মেক্সিকো বলছে তাদের অন্তত চল্লিশ হাজার সমর্থক রাশিয়ায় এসেছে এবং মস্কোসহ বিভিন্ন শহরে ঘোরাফেরা করছে।
আর্জেন্টিনার সমর্থকরাও মস্কোতে জড়ো হয়েছে এবং সমর্থকদের সংখ্যা প্রায় চল্লিশ হাজার।
মিস্টার চৌধুরী বলছেন পেরু চল্লিশ বছর পর বিশ্বকাপে খেলছে তাই তাদের সমর্থকদের উপস্থিতি ও উৎসাহ বেশ চোখে পড়ছে।
“তারা ট্রেন-বাস স্টেশন ও সড়কে দলবেঁধে উৎসব করছে। তাদের বিশ্বকাপ উপস্থিতিতে স্মরণীয় করছেন”।
ইউরোপীয় ঘরানার দর্শকের চেয়ে লাতিন ঘরানার দর্শকই এখন বেশী চোখে পড়ছে বলে জানান তিনি।
শামীম চৌধুরী বলছেন, বাংলাদেশের জন্য টিকেট বেশী থাকেনা। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন মাত্র ২৯০টি টিকেট পেয়েছে। এর বাইরে অনলাইনে কিছু সৌভাগ্যবান ব্যক্তি টিকেট সংগ্রহ করতে পেরেছেন।
“তারা আসতে শুরু করেছে। বেশ কিছু বাংলাদেশীকে দেখা গেছে। সম্ভবত কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যায়ে আরও বেশি দর্শককে দেখা যাবে বাংলাদেশের”।
শামীম চৌধুরী জানান, বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী অধিকাংশ দলই পৌঁছে গেছে। আর্জেন্টিনার বেস ক্যাম্প এখন অনেক জমজমাট।
“এছাড়া মস্কো শহরে যে বেস ক্যাম্পগুলো আছে তারা চলে এসেছে। দশটি শহরে এগারটি ভেন্যু। তবে সব জায়গাতেই নিজ নিজ দলের বেস ক্যাম্প ঘিরে সমর্থকরা অবস্থান নিয়েছেন”।
শামীম চৌধুরী বলেন বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে সাজসজ্জা শুধু স্টেডিয়াম কেন্দ্রিক। লুঝনিকিসহ কয়েকটি স্টেডিয়ামে ব্রান্ডিং ভালো হয়েছে।
তবে রাশিয়ানদের মধ্যে ফুটবল নিয়ে উন্মাদনা এখনো খুব বেশি চোখে পড়েনা। যদিও রাশিয়া স্বাগতিক দেশ হিসেবে খেলার সুযোগ পাচ্ছে।
“২০০২ সালের পর এবারই তারা বিশ্বকাপে খেলছে। বিশ্বকাপে রাশিয়ার ইতিহাস যেহেতু খুব বেশি সমৃদ্ধ নয়। সে কারণে স্থানীয়দের বিশ্বকাপ ক্রেজ খুব একটা পায়নি। ফেন ফেস্টে গেলে অবশ্য রাশিয়ার তরুণদের অনেককে দেখা যায়”।
শামীম চৌধুরী বলছেন বিশ্বকাপকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই ভালো।
“হোটেল, রেস্টুরেন্ট, পাব কিংবা আবাসনের জায়গা গুলোতে সার্বক্ষিনক নজরদারি হচ্ছে। পুলিশের সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে”।
সবমিলিয়ে নিরাপত্তা আসলেই অনেক কঠোর বলেই মনে হচ্ছে জানান মিস্টার চৌধুরী। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস