সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চাকরির বয়স ৩৫ আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদল যমুনায় অটোমেটেড সেবা প্রতিরোধ করবে অপচয় ও দুর্নীতি : অর্থ উপদেষ্টা নেপালে বন্যা-ভূমিধসে ১৯২ মৃত্যু, উদ্ধারে হিমশিম আমরা প্রস্তুত, দীর্ঘ যুদ্ধেও বিজয়ী হবো: হিজবুল্লাহর উপপ্রধান এবি ব্যাংকের বন্ড ইস্যু পুনর্বিবেচনার আবেদন তেলবাহী জাহাজে আগুনের ঘটনায় ২ জনের মরদেহ উদ্ধার ৯৯৯-এর রেসপন্স টাইম আরো কমিয়ে আনা হবে : আইজিপি প্রাথমিক শিক্ষা সংস্কারে কমিটি, নেতৃত্বে ইমিরেটাস অধ্যাপক মনজুর হাসিনার পতনের পর গ্রামীণফোনের শেয়ারদর বেড়েছে ৫৩ শতাংশের বেশি স্বামীসহ গ্রেফতার সাবেক এমপি হেনরি যুবদল নেতা হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে সুলতান মনসুর মিরাজ-সাকিবের ঘূর্ণির পর ২৮৫ রানে ইনিংস ঘোষণা ভারতের অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমে সুপারিশমালা দেবে বিএনপি সেপ্টেম্বরে নির্যাতনের শিকার ১৮৬ নারী-কন্যাশিশু জিয়াউর রহমানকে ‘রাজাকার’ বলায় মামলা চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধির দাবি: পর্যালোচনা কমিটি গঠন ডিসি নিয়োগ নিয়ে হট্টগোল: ১৭ উপসচিবকে শাস্তির সুপারিশ ঢাকাসহ ৯ অঞ্চলে মাঝ রাতের মধ্যে ঝোড়ো হাওয়ার আভাস বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তী সরকার যুক্তরাষ্ট্রে হেলেনের তাণ্ডবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯১

বিলীনের পথে উত্তরাঞ্চলের কচুরিপানার নয়নাভিরাম দৃশ্য

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০১৯
  • ১১২৮ বার পড়া হয়েছে

মো: হায়দার আলী রাজশাহী:  একসময় খাল-বিল, পুকুর, গর্ত-ডোবাগুলো নদীর পানিতে ভরে থাকত। আর এসব পানিতে জন্মাতো কচুরিপানা নামক জলজ উদ্ভিদ। বৃষ্টিপাতের অভাব ও নদীনালা ভরাট হয়ে যাওয়ায় খাল-বিল, নদী-নালায় পানি না থাকায় গর্ত ডোবা বা খাল-বিলে কচুরিপানার  আর দেখা  নেই বললেই চলে। শীতকালে কচুরিপানার সবুজ পাতার মাঝে বেগুনি-সাদা রঙের ফুটে ফুলের নয়নাভিরাম দৃশ্যের সৃষ্টি হতো। যা এখন আর তেমন একটা চোখে পড়ে না। 

অনেক আগে এ কচুরিপানা আমাদের দেশে ছিল না। জনশ্রুতি আছে, এর ফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে জনৈক নাবিক শখের বশে সুদূর জার্মান থেকে এ কচুরিপানা আমাদের দেশে এনেছিল বলে এর নাম জার্মানি হয়েছে। তবে  এ এলাকায় এ কচুরিপানা বা জার্মানি নামেই পরিচিত। এ জার্মানির রয়েছে ছিল নানা গুণ। এর ডাঁটা-পাতা গবাদিপশুর ভাল খাদ্য। জৈবসার হিসাবে শুকনা পচা কচুপিানারও বেশ চাহিদা ছিল। বিশেষ করে এর বাহারি ফুলের কারণে ছোট-বড় সব বয়সের মানুষের কারণে বেশি পরিচিত।

রাস্তার ধারের ডোবার জলে কচুরিপানার সবুজ পাতার মাঝে বেগুনি-সাদা রঙের মিশ্রণে ফুটে থাকা ফুলের সেই নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখে যেকোনো বয়সের মানুষই মুগ্ধ না হয়ে পারে না। আগেকার দিনে গ্রামের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা এই ফুল তুলে খেলায় মেতে উঠত।

গ্রামের স্কুলপড়ুয়া ছেলেমেয়েরা স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফেরার পথে রাস্তার ধারের ডোবার পানিতে ফুটে থাকা ফুল তুলে নিজেরা খেলা করত আর বাড়িতে থাকা ছোট ছোট ভাই-বোনদের হাতে দিয়ে তাদের মন জয় করত। সে দৃশ্য এখন আর চোখে পড়ে না। কচুরিপানা জলজ উদ্ভিদ।

এর পাতার ডাঁটাগুলো অনেকটা পটল আকৃতির এবং ভেতরে স্পঞ্জের মত ফাঁপা হওয়ায় অনায়াসে পানির উপর ভেসে থাকে। এর কোনো বীজ হয় না। গাছের গোড়া থেকে চারা বের হয়ে বংশবৃদ্ধি ঘটে। অনুকূল পরিবেশ পেলে খুব দ্রুত বংশবিস্তার ঘটে। এই কচুরিপানা স্বল্পমাত্রায় জলাশয়ে থাকলে যেমন ভালো তেমনি অধিক মাত্রায় থাকলে আগাছা হিসাবে জলাময় ভরাট ও ফসল যেমন আমন ধানের ক্ষতি করে থাকে। বর্ষাকালে বিলের পানি বৃদ্ধি পেলে বাতাসের চাপে কচুরিপানা ভেসে গিয়ে ধানক্ষেত ঢেকে ফেলে।

শুষ্ক মৌসুমে বিল-বাঁওড় ও পুকুরে জন্মানো কচুরিপানার গাছ-পাতা তুলে স্তুুপ করে রাখলে তা শুকিয়ে পচে ও শুকিয়ে গিয়ে জৈবসার তৈরি হয়। যা কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক সাশ্রয় হয়। আগেকার দিনে মাটির স্পর্শে যাতে গাছের ফল নষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে মাঠের পটল, আলু, লাউ, উচ্ছে ইত্যাদির খেতে শুকনা কচুরিপানা বিছিয়ে দেয়া হতো। এতে একদিকে যেমন এসব সবজি পচনের হাত থেকে রক্ষা পেত অপরদিকে এসব শুকনা কচুরিপানার গাছ পচে জমিতে জৈব সার হিসাবে কাজ করত।

আগের মতো এলাকায় আর কচুরিপানা না থাকায় বর্তমানে সুতা ও বাঁশের কাবারি দিয়ে তৈরি মাচায় এসব সবজি চাষ করা হয়। চোখে পড়েনা শীতকালে কচুরিপানার সবুজ পাতার মাঝে বেগুনি সাদা আর হলুদের মিশ্রণে ফুটে থাকা হাজার হাজার ফুলের নয়নাভিরাম দৃশ্য।

বাংলা৭১নিউজ/এমএম

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com