বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনে তিন কারণে বিএনপির ভরাডুবি হয়েছে।
এগুলো হলো— বিএনপির প্রার্থীরা জনগণের মাঝে যাননি, আয়েসী জীবনযাপন করেছেন এবং মনোনয়ন বাণিজ্য করেছেন। আর জনগণ এগুলো জনগণ মেনে নিতে পারেননি বলেই দলটির এমন ভরাডুবি হয়েছে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সঙ্গে মতবিনিময়ে জাসদ সভাপতি এসব কথা বলেন।
যদিও ভূমিধস বিজয়ের পরদিন সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের কাছে বিএনপির পরাজয় এবং আওয়ামী লীগের জয়ের কারণ ব্যাখ্যা করেন।
সেখানে তিনি দলটির পরাজয়ে বিএনপির প্রধান কে স্পষ্ট না করা, মানবতাবিরোধীদের প্রার্থী করা, মনোনয়ন বাণিজ্য, মূল নেতৃত্বের অভাব, একাধিক প্রার্থী নিয়ে ভোটারদের দ্বিধাসহ একগুচ্ছ কারণ উল্লেখ করেন।
ইনু বলেন, ‘বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা মিডিয়ায় চেহারা দেখানোর কাজে সময় বেশি দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় নেতারা মাঠে না গিয়ে প্রেসব্রিফিংয়ের আশ্রয় নিয়েছেন বেশি।’
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, ভোটের ব্যবধান ঘটেছে ২ কোটি ২৫ লাখ নতুন ভোটার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে ছিল। ফলে তারা এই নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোটকে ভোট দেননি।’
জাসদ সভাপতি বলেন, ‘এ বছর ভোট কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি ছিল অনেক বেশি। বিগত যেকোনো সময়ের চেয়ে আমি ভোট কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি বেশি দেখিছি। এমনকি ভোট গ্রহণের শেষ সময়ে এসে লম্বা লাইনে মানুষ ভোট দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘এবারের ভোটে সবচেয়ে বেশি শাস্তিপূর্ণ পরিবেশ ছিল। বিদেশি পর্যবেক্ষকরা নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের কথা বলেছেন। এমনকি দেশীয় মিডিয়াও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের কথা বলেছে।’
ইনু বলেন, ‘বিএনপি অভিযোগ করেছে, তাদের এজেন্ট বের করে দেয়া হয়েছে। আমি তাদের এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করছি। তারা এটা সঠিক বলেনি। তারা মূলত কোনো এজেন্টই দিতে পারেনি।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে হারলে বিএনপি তা প্রত্যাখ্যান করে, এটা তাদের পুরনো বদ অভ্যাস। তাদের পুনর্নির্বাচনের দাবি ষড়যন্ত্রের অংশ। তারা এর মধ্যদিয়ে আসছে সংসদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিল।’
এক প্রশ্নের জবাবে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘আমরা আপাতত কোনো সঙ্কট দেখছি না। আমরা বিগত সময় একটি সংগ্রামের মধ্যদিয়ে পার করেছি। এটা স্বাভাবিক যে বিরোধীরা বিরোধিতা করবে। জাতীয় পার্টি বিরোধী দলের আসনে বসবে। আর প্রধানমন্ত্রী চাইলে তারা মন্ত্রিসভায়ও আসতে পারেন।’
সরকারের চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশকে উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং দেশে যে জঙ্গিবাদ নির্মূল করে শান্তির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।’ সূত্র: পরিবর্তন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস