দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে কাটলা বাজার। সেখানে নতুন করে ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মান করা হচ্ছে। সেই ইউনিয়ন ভূমি অফিসের পাশের সরকারি জায়গা দখল করে রাতের আধারে চারটি পাকা দোকান ঘর নির্মান করা হচ্ছে। এতে করে
সরকারি সম্পত্তি বেহাতের পাশাপাশি জণসাধারনের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। টাকার বিনিময়ে এসব ঘর হচ্ছে বলে দাবি এলাকাবাসীর। তবে প্রশাসন বলছে, অবৈধভাবে ঘরগুলো নির্মান করা হচ্ছে। বার বার নোটিশ দেওয়ার পরেও কাজ হচ্ছেনা। অচিরেই এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সম্প্রতি বাজারের প্রাণকেন্দ্রে সরকারি ব্যয়ে নির্মান করা হয় কাটলা ইউনিয়ন ভ‚মি অফিস। কিন্তু ভূমি অফিসের উত্তর দিকে মোখলেছুর রহমান, সাবু মিঞা, তফিজ উদ্দিন ও রশিদুল ব্যক্তিগন অবৈধ ভাবে পাকা দোকান ঘর নির্মান করছেন। ফলে
সংকোচিত হয়ে পড়েছে জণসাধারনের চলাচল করা রাস্তা। বেহাত হচ্ছে সরকারি সম্পত্তি। পাশাপাশি ভূমি অফিসের সৌন্দয্য নষ্ট হচ্ছে। ভূমি অফিসের কর্তাব্যক্তিদের নাগের ডগায় অবৈধ ভাবে পাকা দোকান নির্মান করা হলেও ঘর নির্মান বন্ধে প্রশসানের কোন জোরালো
কোন পদক্ষেপ নেই। তবে কাটলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশীলদার রাকিব হোসেন দাবি করেন দোকান ঘরগুলো সরিয়ে নিয়ে দোকান মালিকদের নোটিশ দেয়া হয়েছে। তবুও তারা অবৈধভাবে ঘরগুলো নির্মান করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, দোকান ঘরের কাজ রাত ১০ টার পর থেকে শুরু হয় ভোর পর্যন্ত চলে। তবে প্রশাসন কোন প্রকার ভূমিকা নেয়না। বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমানের জামাই মুকুল সরকার জানান, সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারী) উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহসিয়া তাবাসসুমসহ পুলিশ পাঠিয়ে দিয়ে আমার জায়গাতে নির্মান করা প্রাচিরটি ভেঙ্গে দিয়েছে। কারন বিগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার তেীহিদুর রহমান তাদের জায়গার সঙ্গে সরকারের জায়গার বিনিময় করেছেন।
ফলে তারা সরকারের দেওয়া জায়গাটি ভোগ দখল করে আসছেন এবং মুকুল সরকারের জায়গাটিতে ভূমি অফিস ব্যবহার করছেন। এদিকে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল চন্দ্র সরকার জানান, আমি খবর পেয়েছিলাম যে ভূমি অফিসের পূর্ব পাশে সরকারী জায়গাতে একটি ইটের পাচির দেওয়া হয়েছে। তাৎক্ষনিক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহসিয়া তাবাসসুমসহ পুলিশ পাঠিয়ে দিয়ে পাচিরটি ভেঙ্গে দিয়েছি। এমনকি অচিরেই অভিযান চালিয়ে অবৈধ দোকান ঘরগুলোও উচ্ছেদ করা হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এমকে