বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: আসন্ন ঈদওল ফিতরের আগে সোমবার ছিল সরকারি চাকরিজীবীদের শেষ কর্মদিবস। অন্যদিকে অধিকাংশ পোশাক-কারখানাসহ সবধরনের প্রতিষ্ঠানেই ঈদ উপলক্ষে ছুটি দেয়া হচ্ছে। এ রকম পরিপ্রেক্ষিতে ঈদে ঢাকা ছাড়া যাত্রীদের চাপ বাড়তে শুরু করেছে বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে।
রবি ও সোমবার সকাল থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত বিমানবন্দর স্টেশনে অবস্থান করে দেখা যায়, রোববারের তুলনায় সোমবার সকালে এ স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় বেশি। এরপর সোমবার দুপুরের পর যাত্রী সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে শুরু করে। স্টেশনের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত যাত্রীতে ভরে যায়।
সোমবার সকালে উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনে যাত্রীদের চাপ বেশি লক্ষ্য করা যায়। তারা ভেতরে সিট না পেয়ে ছাদে উঠলে স্টেশনের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের হাতে পিটুনির শিকার হন। ট্রেনের দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে না পেরে অনেকে জানালা দিয়ে প্রবেশ করেন। উত্তরবঙ্গ ছাড়া অন্য গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলোতে ভিড় থাকলেও এ অবস্থা ছিল না।
কুমিল্লার লাকসামে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন মো. রাজিব। বলেন, ‘টিকিট পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে স্ট্যান্ডিং টিকিট কেটেছি। যত কষ্টই হোক না কেন বাড়ি যেতেই হবে। বাড়িতে বাবা-মা, ভাই-বোন অপেক্ষায় আছে।’
এদিন দুপুর থেকে উত্তরবঙ্গ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীরা ভেতরে প্রবেশ করতে না পেরে ছাদে ওঠার চেষ্টা করেন। সকালে পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেসের যাত্রীরা ছাদে গন্তব্যে যান। এরপর আর কোনো ট্রেনের যাত্রীদের ছাদে যেতে দেননি রেলওয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। ছাদের যাত্রীদের পিটিয়ে নামিয়ে দেন তারা।
তবে বেলা ৩টায় বিমানবন্দর স্টেশনে আসা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের যাত্রীদের ছাদে অবস্থান নিতে দেখা যায়। নারীরাও ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে ওঠেন। এ সময় স্টেশনের নিরাপত্তা কর্মীদের ছাদ থেকে যাত্রীদের নামানোর ক্ষেত্রে তৎপরতা দেখা যায় না।
অন্যদিকে রোববার বিমানবন্দর স্টেশনে ভ্রাম্যমাণ আদালত না থাকলেও সোমবার ভ্রাম্যমাণ আদালত বসে দুপুরের দিকে। যেসব যাত্রী টিকিট ছাড়া স্টেশনে প্রবেশ করেছেন, তাদের বেরিয়ে যেতে বলেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বাংলা৭১নিউজ/এফ.এ