এশিয়ার সবচেয়ে বড় গ্যাসক্ষেত্র বিবিয়ানায় বন্ধ থাকা তিনটি কূপের গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়েছে। তবে বাকি তিনটি এখনো বন্ধ আছে।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেভরন বাংলাদেশের কমিউনিকেশন ম্যানেজার শেখ জাহিদুর রহমান।
তিনি জানান, ভোর থেকে বন্ধ থাকা তিনটি কূপে গ্যাস উত্তোলন স্বাভাবিক হয়েছে। তবে বাকি তিনটি কূপে গ্যাস উত্তোলন স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় লাগবে।
এর আগে অতিরিক্ত গ্যাস তুলতে গিয়ে গ্যাস সরবরাহে দেখা দেয় বিপর্যয়। দৈনিক উৎপাদন সক্ষমতা ১২০ ঘনফুট হলেও গত শনিবার ১২৭ ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করে শেভরন। ফলে প্রচুর পরিমাণে বালু উঠে আসে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় ফেসবুক পোস্টে জানায়, ‘বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডে সমস্যা দেখা দেয়ায় জরুরি মেরামতের জন্য কোন কোন এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপের সৃষ্টি হয়েছিল গত দুইদিন। আমাদের অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের নিরলস পরিশ্রমের ফলে আমরা ধীরে ধীরে সংকট কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছি।
বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড থেকে দৈনিক ১২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হতো। সমস্যা দেখা দেয়ায় যা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছিল। বর্তমানে ১০১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা নাগাদ যা ১১০০ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত হবে।এই সংকটকালীন সময়ে ধৈর্য্য ধারণ করায় আমাদের সম্মানিত গ্রাহকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে অবস্থিত বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র পরিচালনা করছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি শেভরন। দেশে উৎপাদিত গ্যাসের ৪০ শতাংশের বেশি আসে এই ক্ষেত্র থেকে। প্রতিদিন এখানে গ্যাস উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার ২৭৫ মিলিয়ন ঘনফুট।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ