বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১১:১৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
আমিরাতে ৬৫ কোটি টাকার লটারি জিতলেন প্রবাসী বাংলাদেশি মাসুদ বিশ্বাসের সম্পদের খোঁজে ১১ দেশে চিঠি সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র গ্রেপ্তার নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে ড. ইউনূসকে আমন্ত্রণ পূজামণ্ডপে থাকবে দুই মন্ত্রণালয়ের ৮৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবী এইচএসসির ফল ১৫-১৭ অক্টোবরের মধ্যে আ.লীগের সহ-সভাপতি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার, ৯২টি গুলি ব্যবহারের স্বীকারোক্তি শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির ৮৮২তম সভা অনুষ্ঠিত ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত বিবাদ-বিদ্বেষ নয়, জাতীয় সংহতির মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই: নুর ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১০২২ ১০ বছরের আক্ষেপ মিটিয়ে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের টাইম ম্যাগাজিনের ‘হানড্রেড নেক্সট’ তালিকায় উপদেষ্টা নাহিদ এবার গাজার প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার দাবি করল ইসরায়েল নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প শেষ করতে ব্যর্থ হলে ব্যবস্থা সাইবার নিরাপত্তা আইন অবশ্যই বাতিল হবে: আসিফ নজরুল ডিসি নিয়োগে লেন‌দে‌নের অভিযোগ তদন্তের নি‌র্দেশ, দা‌য়ি‌ত্বে ৩ উপদেষ্টা রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ১৪ আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

বিবাদ-বিদ্বেষ নয়, জাতীয় সংহতির মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই: নুর

বাংলা৭১নিউজ ঢাকা:
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

বিবাদ এবং বিদ্বেষের বিপরীতে গণধিকার পরিষদ জাতীয় ঐক্য ও সংহতি প্রকাশের মধ্য দিয়ে আগামীর নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চায় বলে জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

নুরুল হক নুর বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদ গণ মানুষের একটা দল হবে। গণঅধিকার পরিষদের যে সহযোগী সংগঠন আপনারা তাদের কাজকর্ম সম্পর্কে জানেন। কালো টাকা ও পেশিশক্তি নির্ভর দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতির বিপরীতে গণঅধিকার পরিষদ একটি উদার প্রগতিশীল অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক নীতিতে বিশ্বাস করে। বিবাদ এবং বিদ্বেষ এর বিপরীতে আমরা জাতীয় ঐক্য ও সংহতি প্রকাশের মধ্য দিয়ে আগামী নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই।’

বৃহস্পতিবার রাজধানীর পুরাতন পল্টন অবস্থিত গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ে ‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খাকে ধারণ করে রাষ্ট্র সংস্কার ও আগামীর নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানের সংগ্রামকে বেগবান করতে গণঅধিকার পরিষদে যোগদান কর্মসূচি’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বলেন তিনি।

নুরুল হক বলেন, ‘গণধিকার পরিষদ মনে করে আগামীর নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এবং নতুন নেতৃত্বের বিকল্প নেই। বিদ্যমান নেতৃত্ব এবং বিদ্যমান রাজনীতি গত পাঁচ দশক ধরে কী করেছে সেটা জাতির সামনে পরিষ্কার। তাই জনগণকে আমরা বলতে চাই ক্ষমতা দখল কিংবা ক্ষমতায় বসা নয়, জনগণের ক্ষমতায়ন এবং জবাবদিহিতামূলক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা গণধিকার পরিষদের অঙ্গীকার। যে কারণে আমাদের স্লোগান ছিল জনতার অধিকার আমাদের অঙ্গীকার, আমাদের অঙ্গীকার দেশ হবে জনতার। সেই জায়গা থেকে জনগণকে আমরা এই নতুন রাজনৈতিক দল ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিতে গণঅধিকার পরিষদে আহ্বান জানাই।’

অন্তর্বর্তী সরকারের মূল্যায়নে ঢাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, ‘বর্তমান সরকার যেভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, দলমত নির্বিশেষে ভিন্নমত পথের মানুষ একইভাবে একটা সরকারকে সমর্থন করছে; বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন আর কখনো হয়নি। কাজেই এই সরকারের প্রতি জনগণের যে প্রত্যাশা সেটা সরকারকে ধারণ করে কাজ করতে হবে।’

নুর বলেন, ‘সরকারের জনভিত্তি না থাকলে সরকার ক্ষমতায় টিকতে পারবে না, রাষ্ট্র সংস্থার করতে পারবে না। জনগণের আকাঙ্ক্ষায় আগামী বাংলাদেশের যে সংস্কারের পথ সেই পথে যেতে পারবে না। তাই সরকারকে বারবার আমরা স্বরণ করিয়ে দিতে চাই আপনাদের শক্তি সামর্থের ভিত্তি হবে রাজনৈতিক দলগুলো। এই নতুন রাজনীতিতে বিশ্বাসী গণঅধিকার পরিষদের মতো রাজনৈতিক দলগুলো আপনাদের পূর্ণ সমর্থন এবং সহযোগিতা করতে চায়। পাশাপাশি আমি মনে করি বিদ্যমান সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সরকারের সাথে একটি আলাপ-আলোচনা ও বোঝাপড়ার বিষয় থাকতে হবে।’

রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে দূরত্ব তৈরি হলে সেটা এই সময় আরও রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করবে। সরকার সেই বিষয়ে খেয়াল রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করে নুর।

গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি আরও বলেন, ‘মাফিয়া লুটেরাদের বিচার কোনো সরকার করেনি। এই সরকারকে মাফিয়া লুটেরাদের বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। গণহত্যাকারীদের বিচার করে ইতিহাসে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। এই গণহত্যার সাথে জড়িত আওয়ামী লীগ এবং তার দোসরদেরকে রাজনৈতিকভাবে ন্যূনতম ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে। তবেই আমরা আগামীর কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ বিনির্মাণের সাথে এগিয়ে যেতে পারবো।’

নুর বলেন, ‘এই দুর্বৃত্ত গণহত্যাকারীরা যদি রাজনীতির সুযোগ পায় আবার বাংলাদেশ সেই অন্ধকারে পতিত হবে। তাই সরকারের প্রতি পরিস্কারভাবে আমাদের দাবি এবং আহ্বান আপনাদের প্রতি জনগণের যে সমর্থন রয়েছে জনগণ আপনাদের মাধ্যমেই রাষ্ট্র সংস্কারের পথটা শুরু করতে চায়। এই গণহত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত করতে চায়। তাই আপনারা জনগণের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করুন। জনগণের মনের ভাষাটা বোঝার চেষ্টা করুন।’

সংবাদ সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, ‘ঐতিহাসিক কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে। তখন সে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলাম আমরা। আজ যে আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে সৈরাচার সরকারের পতন হয়েছে সেই আন্দোলনের বীজ বপন করেছিলাম আমরা। তখন আমাদের সভাপতির একটি বক্তব্যে অনেকে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল। যে ইতিহাস আমরা শুরু করেছিলাম ২০১৮ সালে সেই ইতিহাস শেষ করেছি ২০২৪ সালে।’

রাশেদ খান বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদ আগামীতে এই দেশের নেতৃত্ব দিতে চায়। আমরা আগামীতে ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে চাই। বাংলাদেশের মানুষ চায় পরবর্তন। আর গণঅধিকার পরিষদ সেই পরিবর্তনের রাজনীতি করে।’

যোগদান অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন স্থানের বিভিন্ন দলের মোট ২০ জন নেতা গণঅধিকার পরিষদে যোগদান করায় তাদেরকে ফুলদিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।

বাংলা৭১নিউজ/এসএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com