শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
পঞ্চগড়ে টানা চারদিন দিন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ইয়েমেনের বিমানবন্দরে হামলা, অল্পের জন্য বাঁচলেন ডব্লিউএইচও প্রধান গান পাউডার ব্যবহার হয়েছে কি না, খতিয়ে দেখতে ‘বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ’ পানির ট্যাংকে লুকিয়ে ছিলেন আ. লীগের ‘ভাইরাল নেত্রী’ কাবেরী পাবনায় দাঁড়িয়ে থাকা করিমনে ট্রাকের ধাক্কায় তিন শ্রমিক নিহত, আহত ৫ নববর্ষে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ ক্রীড়া পরিষদে অস্থায়ী অফিস ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মারা গেছেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং যেখানে চলবে ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম সংস্কার ছাড়া নির্বাচন সম্ভব নয়: প্রধান উপদেষ্টা চাচাকে বাবা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিসিএস ক্যাডার! হাইকোর্টের নতুন রেজিস্ট্রার হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী লামায় অগ্নিসংযোগ: ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে উপদেষ্টা-প্রশাসন নসরুল হামিদের ৩৬ কোটি টাকার সম্পদ, অস্বাভাবিক লেনদেন ৩১৮১ কোটি তিন উপদেষ্টাকে বিপ্লবী হতে বললেন সারজিস আলম জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম ফায়ার ফাইটার নিহতের ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা কোরিয়া থেকে ৬৯৩ কোটি টাকার এলএনজি কিনবে সরকার সাভারে বন্ধ টিএমআর কারখানা চালুর নির্দেশনা উপদেষ্টার দুদকের সাবেক কমিশনার জহুরুল হকের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু

বিপৎসীমার ওপরে সুরমা নদীর পানি, বন্যার শঙ্কা

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় রবিবার, ২৪ মে, ২০২০
  • ৫৩ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জে হঠাৎ করেই বাড়তে শুরু করেছে সুরমা নদীর পানি। শনিবার (২৩ মে) মধ্যরাত থেকে সুনামগঞ্জের নদীবর্তী বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। ভারতের চেরাপুঞ্জিতে গত দুইদিনের টানা ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে এমনটা হয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

অন্যদিকে ভারতের পাহাড়ি ঢলের পানির কারণে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সালুকাবাদ ইউনিয়নের ভাদেরটেক গ্রামে পানি প্রবেশ করায় ভেঙে গেছে সড়ক, বাড়ি ও দোকানঘর।

জানা যায়, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন নদ-নদীর পানির দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার মধ্যে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে শুক্রবার (২২ মে) ২২০ মিলিমিটার ও শনিবার (২৩ মে) ৩২৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

বিপৎসীমার ওপরে সুরমা নদীর পানি, বন্যার শঙ্কা

সরেজমিনে পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সালুকাবাদ ইউনিয়নের ভাদেরটেক গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, পাহাড়ি ঢলে হাওরের ফসল রক্ষার জন্য নির্মিত রাবার ড্যাম উপচে পানি প্রবেশ করে পানির ঢেউয়ে ওই এলাকার ছোটবড় পাকা ও কাঁচা বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়াও যাতায়াতের একমাত্র সড়কটির পানির তোড়ে ভেঙে যাওয়ায় বর্তমানে তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন রয়েছে। অন্যদিকে পাহাড়ি ঢলের স্রোতে বেশ কয়েকটি দোকানঘর ভেঙে গেছে।

গ্রামবাসী জানান, শনিবার মধ্যরাত থেকে তাদের এলাকায় পানি প্রবেশ করতে থাকে। রাবার ড্যাম সঠিক সময়ে খুলে না দেয়ায় তাদের এ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ভাদেরটেক গ্রামের বাসিন্দা ডা. আমির হোসেন বলেন, হঠাৎ করে রাতে পাহাড়ি ঢলে আমার দোকান ও ফার্মেসি ভেঙে গেছে। আমার প্রায় ছয় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। যদি সঠিক সময়ে রাবার ড্যামটি খুলে দেয়া হতো তাহলে এতো ক্ষতি হতো না। আমার দোকানে অধিকাংশ জিনিসপত্র পানিতে তলিয়ে গেছে। শুধু ফার্মেসির ওষুধগুলো সরিয়ে নিতে পেরেছিলাম ।

jagonews24

একই এলাকার বাসিন্দা লতিফ মিয়া বলেন, রাত ৩টার দিকে আমাদের গ্রামে পানি প্রবেশ করতে থাকে এবং ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের মধ্যে হাঁটু পানি হয়ে যায়। আমাদের সড়কটি ভেঙে যায়। এছাড়াও আমাদের গ্রামের বেশ কয়েকটি ঘর ভেঙে গেছে। একদিকে করোনা অন্যদিকে আগামীকাল ঈদ। এর মধ্যে এসব। আমাদের গরিবদের অবস্থা খুবই খারাপ। এখন সরকার যদি আমাদের ক্ষয়ক্ষতি কিছুটা পূরণ করে দেয় তাহলে উপকার হতো।

গ্রামের বাসিন্দা রুশিয়া খাতুন বলেন, রাতে হঠাৎ করে পানি চলে আসে। আমার বাড়ির অর্ধেক অংশ পানিতে তলিয়ে যায়। গ্রামবাসীর সহায়তায় দ্রুত ঘরের জিনিসপত্র সরিয়েছি। এখন আমি যাবো কই, থাকবো কই, এই বাড়িতো আরেকটু বৃষ্টি হলে পানিতে তলিয়ে যাবে।

সাদুকাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) শাহ পরান বলেন, শনিবার রাত থেকে গ্রামে পানি প্রবেশ করতে থাকে। আমি সঙ্গে সঙ্গে রাবার ড্যাম খুলে দিই। কিন্তু আমার এমন করে রাবার ড্যাম খোলার অনুমতি নেই। ডিসি-ইউএনও স্যারের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু মানুষের কথা ভেবে খুলে দিয়েছি। তবুও আমাদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

jagonews24

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সমীর বিশ্বাস বলেন, আমি শুনেছি ভাদেরটেক গ্রামের ঘরবাড়ি ও সড়কটি নাকি ভেঙে গেছে, আমি এখন সেখানেই যাচ্ছি। সেখানে গিয়ে সবকিছু বিবেচনা করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের যতটুকু সাহায্য করা যায় আমরা অবশ্যই করবো।

এদিকে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান বলেন, ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে পানি বাড়তে শুরু করেছে। নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি প্রবেশ করারও সম্ভবনা রয়েছে। আমরা গেল ফসলরক্ষা বাঁধের সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম পানি প্রবাহ ঠিক রাখতে বাঁধগুলো কেটে দেয়ার। আমরা এখন এটি বাস্তবায়নের চেষ্টা করবো।

বাংলা৭১নিউজ/জেএফ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com