বাংলা৭১নিউজ,নেত্রকোনা)প্রতিনিধি: ‘যেখানেই অসহায় দরিদ্রের আর্তনাদ, সেখানেই আলোর দৃপ্তি ছড়িয়ে মানবতার জয় গান গেয়ে চলেছে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতিটি সদস্য’।
সমাজে পিছিয়ে পড়া অসহায়, হত-দরিদ্র ও দুঃস্থ যে কোনো মানুষের প্রয়োজনে তাদের পাশে দাড়াচ্ছেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। আনসার সদস্যদের উজ্জীবিত করার পিছনে যে মানুষটি নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন, তিনি হলেন নেত্রকোনা জেলার জেলা কমান্ড্যান্ট (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও ৬ আনসার ব্যাটালিয়নের পরিচালক মোঃ জিয়াউল হাসান।
তাঁর অবিরাম অনুপ্রেরণায় জেলার প্রতিটি আনসার ভিডিপি সদস্য করোনা দুর্যোগ কালীন সময়ে নিজের জীবন বাজি রেখে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন করা, মানুষকে সরকারি আদেশ স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে উদ্ধুদ্ধ করা, কর্মহীন অসহায় দুঃস্থ মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করাসহ দরিদ্র কৃষক কৃষাণীদের শ্রমিক সংকটে তাদের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কাজ অত্যন্ত মানবিকতার সাথে করে চলেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আবারো নেত্রকোনা জেলার দূর্গাপুর উপজেলায় স্বামী-সন্তানহীন অসহায় হত দরিদ্র কৃষাণীর জমির ধান স্বেচ্ছাশ্রমে কেটে দিল গভীর দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ আনসার ভিডিপি সদস্যগন।
করোনা কালীন মহামারিতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের আগার গ্রামের অসহায় বিধবা ও নিঃসন্তান রহিমা খাতুন এর ৬০ শতাংশ জমির ধান শনিবার স্বেচ্ছায় কেটে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছে উপজেলার ৫৩ জন সেচ্ছাসেবী আনসার ও ভিডিপি সদস্য-সদস্যা। এই সময় রহিমা খাতুন আনসার ও ভিডিপির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আমি অসহায় ও দরিদ্র মানুষ। শ্রমিক দিয়ে ধান কেটে ঘরে তোলার মত টাকা আমার ছিল না। আমার এই দুর্দিনে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা আমার যে উপকার করেছে, সে জন্য বাহিনীর সকল সদস্যদের প্রতি আমার দোয়া রইলো। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আনসার ও ভিডিপির মহিলা প্রশিক্ষিকা এবং আনসার কমান্ডার, দলনেতা, দলনেত্রীবৃন্দ।
এ প্রসঙ্গে পরিচালক মোঃ জিয়াউল হাসান বলেন, প্রাণঘাতী করোনার প্রভাব ও শ্রমিক সংকট মুহুর্তে দেশের মানুষের জন্য বিশেষ করে দরিদ্র ও অসহায়দের জন্য কিছু করার মধ্যেই মানবতার স্বার্থকতা নিহিত। আর এজন্যই বারবার আমরা তাদের পাশে মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ