বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: আসন্ন বাজেটে বিদ্যুতে নয় হাজার ২০০ কোটি টাকা ভর্তূুক রাখা হতে পারে। বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে না। এজন্য ভর্তূকির পরিমান বাড়ানো হচ্ছে।
গত কয়েকবছর বিদ্যুতে সরাসরি ভর্তুকি দেয়া হয়নি। ঋণ দেয়া হতো। এবার ভর্তূকি রাখা হচ্ছে।
এবার বাজেটেও অগ্রাধিকার তালিকায় থাকছে বিদ্যুত ও জ্বালানি খাত। চলতি বছর থেকে এবার প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ দেয়া হবে। আসছে বাজেটে এ খাতের সম্ভাব্য ২৬ হাজার ২২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হবে।
অবশ্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় বরাদ্দ চেয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে বিশেষ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য এই বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ অব্যাহত রাখা। এখান প্রচুর কাজ। প্রচুর অর্থ প্রয়োজন। এটা খরচ নয় বরং বিনিয়োগ।
শতভাগ বিদ্যুতায়নে অতিরিক্ত ১০ হাজার কোটি টাকা
শতভাগ বিদ্যুতায়নের জন্য ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) অতিরিক্ত ১০ হাজার ৮৯৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ চেয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিদ্যুৎ বিভাগের ৩১ হাজার ৬৭২ কোটি টাকা চেয়েছে।
এই বরাদ্দ না পেলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, সরকারের ‘ভিশন-২০২১’ অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে দেশের সবাইকে নির্ভরযোগ্য ও মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হবে। এজন্য ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএমকে