বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: বিদ্যুতের দাবিতে দিনভর সড়ক অবরোধ করে রাখে স্থানীয় জনতা। এর জেরে পুলিশ-জনতার মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া পরে গোলাগুলিতে রণক্ষেত্রের রূপ নেয় মুর্শিদাবাদের ফারাক্কা এলাকা। এ ঘটনায় অন্তত ২জন নিহত এবং ১০জন আহত হবার খবর পাওয়া গেছে।
আজ রবিবার মুর্শিদাবাদের ফারাক্কায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, বিদ্যুতের দাবিতে মুর্শিদাবাদের ফারাক্কায় স্থানীয় জনতা সড়ক অবরোধ থেকে তুলকালাম কাণ্ড, পরে পুলিশের গুলিতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এসময় পুলিশের গুলিতে জামাল শেখ (৩২) নামে বালিদাপুকুর গ্রামের এক ব্যক্তি নিহত এবং আরো ১০জন আহত হন।
ফরাক্কার জিগরি গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, ৩ দিন ধরে গ্রামে বিদ্যুৎ নেই। ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার সড়কে নামে গ্রামবাসীরা। ঘড়ির কাঁটায় তখন বেলা ১২টা। জিগরি মোড়ের কাছে অবরোধ করা হয় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। অবরোধের জেরে জাতীয় সড়কে তুমুল যানজট সৃষ্টি হয়।
বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ, ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ বাহিনী। অবরোধ তুলতে গেলে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশকে লক্ষ্য করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। ইটের আঘাতে মাথা ফেটে যায় ফরাক্কা থানার আইসি সমীর রায়ের। জখম হন আরো ৫ পুলিশ সদস্য।
এতে পাল্টা লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ। এরপর গুলি চালাতে শুরু করে পুলিশ। আহত হন বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী। শুধু আহতই নয় পুলিশের গুলিতে একজনের মৃত্যুও হয়েছে বলে দাবি ফরাক্কার কংগ্রেস বিধায়ক মইনুল হক।
তবে স্থানীয়দের দাবি পুলিশের গুলিতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও সরকারিভাবে কোনো মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেনি।
গুলি চালানোর কথা মানলেও, তাতে কারো মৃত্যুর কথা স্বীকার করেনি পুলিশ। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অংশুমান সাহার দাবি, অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের ওপর ইটবৃষ্টি হয়। ইটের আঘাতে জখম হন আইসি-সহ ৬ পুলিশ সদস্য। পরিস্থিতিতে সামলাতে ফাঁকা গুলি চালায় পুলিশ।
পুলিশের গুলি চালানোর নিন্দায় সরব তৃণমূল ও সিপিএম। ঘটনার পর এলাকায় থমথমে অব্স্থা বিরাজ করছে।
এ ঘটনার জেরে বন্ধ হয়ে যায় ৩৪নং জাতীয় সড়কের যান চলাচল। বহু মানুষ গাড়ি থেকে নেমে মাঠে আশ্রয় নেন। এ নিয়ে ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ