রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের এক্সপোর্ট রিটেনশন কোটায় (ইআরকিউ) পর্যাপ্ত স্থিতি থাকা সাপেক্ষে বিদেশে বিনিয়োগ করতে পারবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন অ্যাক্ট, ১৯৪৭ এর ২৭ নম্বর ধারার ক্ষমতাবলে ‘মূলধনি হিসাব লেনদেন (বিদেশে ইক্যুইটি বিনিয়োগ) বিধিমালা, ২০২২’ শীর্ষক প্রজ্ঞাপন প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে।
গত ৯ জানুয়ারি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন অ্যাক্ট, ১৯৪৭ এর ২৭ নম্বর ধারার ক্ষমতাবলে মূলধনি হিসাবের লেনদন (বিদেশে ইক্যুইটি বিনিয়োগ) বিধিমালা জারি করে। এর আওতায় রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের রিটেনশন কোটা হিসাব থেকে বিদেশে ইক্যুইটি বিনিয়োগ করতে পারবে। এক্ষেত্রে আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের বিগত ৫ বছরের বার্ষিক গড় রপ্তানির অনধিক ২০ শতাংশ অথবা সর্বশেষ নিরীক্ষিত হিসাব অনুযায়ী নিট সম্পদের ২৫ শতাংশ, এ দুটির মধ্যে যেটি কম, তা বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ থাকবে।
আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করতে হবে। আবেদন যাচাইয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে সভাপতি করে ১৫ সদস্যের একটি বাছাই কমিটি রাখা হয়েছে। কমিটির সিদ্ধান্ত অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকে অবহিত করাসহ পত্রের কপি আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করা হবে।
বিদেশে কোম্পানি গঠনের বিষয়ে বিধিমালাতে উল্লেখ রয়েছে। বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বিদেশে গঠিত কোম্পানির সব পাওনা, মুনাফা, সুদ, শেয়ার বিক্রয়লবদ্ধ অর্থ, বিনিয়োগ বিলুপ্তির ফলে অবশিষ্ট অর্থ. বেতন, রয়্যালটি, কারিগরি প্রজ্ঞান ফি, পরামর্শ ফি, কমিশন, ইত্যাদি অর্জিত হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশে প্রেরণ করতে হবে। বিনিয়োগ অপব্যবহারকে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আওতায় তা মানিলন্ডারিং হিসেবে গণ্য হবে।’
বাংলা৭১নিউজ/এবি