নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের প্রতিবেদন দেখে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। বিদেশি পর্যবেক্ষকদের প্রতিবেদনের বিষয়ে ইতোমধ্যেই কর্মকর্তাদের সামারি করতে বলেছি।
বুধবার (৩ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এনডিআই-আইআরআইসহ বিদেশি পর্যবেক্ষকদের দেওয়া প্রতিবেদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা তাদের রিপোর্ট দেখেছি। ফরমালি বসতে পারিনি। প্রাথমিক রিপোর্ট আমরা দেখেছি। আমাদের মধ্যে আলোচনাও হয়েছে।
এখন সামারি করার জন্য বলা হয়েছে, যে তারা আমাদের ভালো দিক এবং দুর্বল দিক কী দেখেছে। ইসি সচিবালয় খসড়া করেছিল, আমরা বিস্তারিতভাবে আবার করতে বলেছি। এক্ষেত্রে পর্যালোচনা করে আমরা পরবর্তী কমিশনের জন্য সাজেশন (পরামর্শ) রেখে যাব। আমাদের আমরা ত্রুটি দেখে ভবিষ্যতে সেটি দেখব।
এক প্রশ্নের জবাবে ইসি মো. আলমগীর বলেন, তারা টোটাল নির্বাচন নিয়ে মতামত দিয়েছে। প্রার্থী, দল, সরকার, ভোটকেন্দ্র নানা বিষয়ে কথা বলেছে। আমরা কেবল আমাদের দিকটা দেখব। তারা যে সুপারিশ করেছে সেগুলো বিবেচনা করা হবে। যেগুলো আমাদের জন্য করা সম্ভব সেগুলো পরবর্তী কমিশনের জন্য সুপারিশ রেখে যাব।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, তারা একটা (প্রতিবেদনের) জায়গায় বলেছে ভোটে কারচুপি হয়েছে বেশ কয়েকটা কেন্দ্রে, যেখানে কমিশন ব্যবস্থাও নিয়েছে। যদি বলত কমিশন অবহেলা করেছে, এমন তো বলেনি। তারা কমিশনের বিরুদ্ধে নেতিবাচক কিছু বলেনি, যে কমিশনের এমন সক্ষমতা ছিল অথচ ব্যবস্থা নেয়নি।
অথবা কমিশন এখানে ভোটের এই সমস্ত কেন্দ্রগুলোতে জাল ভোট হয়েছে কিন্তু কমিশন বন্ধ করেনি, এমন কোনো রিপোর্ট নেই। বরং কমিশন ব্যবস্থা নিয়েছে বলে তাদের রিপোর্টে আছে। প্রশাসনে রদবদল করেছে এগুলোও আছে।
এখন টোটাল গণতান্ত্রিক বিষয় তো আর নির্বাচন কমিশন দেখে না। তারা নির্বাচন কমিশন নিয়ে যা বলেছে আমাদের দৃষ্টিতে দেখিনি যে খারাপ কিছু বলেছে। আমরা সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণভাবে করেছি। কতটা গ্রহণযোগ্য হয়েছে সেটা দলগুলোর ওপর ছেড়ে দিয়েছি।
গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করলেও নিবন্ধিত ৪৪টি দলের মধ্যে বিএনপিসহ অন্য দলগুলো ভোট বর্জন করে। এতে নির্বাচনকালীন কিছু সহিংস ঘটনাও ঘটে। রেলে অগ্নি সংযোগে প্রাণহানি হয়।
তবে ভোটের দিন তেমন কোনো বড় ঘটনা ঘটেনি। অনেক শান্তিপূর্ণভাবেই নির্বাচন সম্পন্ন হয়। নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ জয়লাভ করে ফের সরকার গঠন করে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ