বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাত উন্নয়নবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, বিদেশি বিজ্ঞাপন বাংলাদেশি টিভি চ্যানেলগুলোতে সম্প্রচার করা যাবে না। একই সঙ্গে ডাউনলিংক করা বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতেও দেশীয় বিজ্ঞাপন সম্প্রচার করা যাবে না।
আজ রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে মিডিয়া ইউনিটির চতুর্থ সংহতি সমাবেশে তিনি এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অনুষ্ঠানগুলোর মানোন্নয়ন করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত বাজেট। মান বাড়াতে বিষয়টির প্রতি নজর দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সালমান এফ রহমান বলেন, আমাদের দেশে যে মেধা আছে সেটিকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। বিদেশি চ্যানেল পরিহার করতে হলে আমাদের দেশের অনুষ্ঠানগুলোর মান বাড়াতে হবে।
যাতে আন্তর্জাতিক মানে অনুষ্ঠান তৈরি করা যায় সেটি খেয়াল রাখতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের সংস্কৃতির প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।
সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে যেকোনো সমস্যা সমাধানে আমাদের সব চ্যানেল মালিকদের মাঝে একতা বাড়াতে হবে। সব সমস্যা ঐক্যবদ্ধভাবে সমাধা করতে হবে। মতের গরমিল থাকতে পারে।
তবে দাবি আদায়ে সবার ঐক্য বজায় রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, আমরা আজকে বিজ্ঞাপনের বিষয়ে যেভাবে সবাই একমত হয়েছি সেটি ধরে রাখতে হবে। ঐক্য ভাঙা যাবে না। টেলিভিশন শিল্পসহ সব শিল্প ও কলাকুশলীদের প্রতি আমাদের সম্মান বজায় রাখতে হবে। মিডিয়া মালিকদের মাঝে কোনো প্রকার ক্ষোভ রাখা যাবে না। সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
চ্যানেল ৭১-এর সিইও মোজাম্মেল বাবু বলেন, আমাদের সবার সম্মিলিত প্রয়াসে আজকে একটি সিদ্ধান্তে একমত হতে পেরেছি। আজকে সবাই বিরোধ ভুলে একসঙ্গে সংহতি সমাবেশে মিলিত হতে পেরেছি। আমি আগামীতে সব ইলেক্ট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়াকে নিয়ে একটি মিডিয়া ক্লাব করতে চাই। আপনারা সবাই সহযোগিতা করলে সেটি সম্ভব।
এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বলেন, কয়েকদিন আগে শিল্পী ও কলাকুশলীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যে সমাবেশে মিলিত হয়েছে সেটির যৌক্তিকতা আছে। তাদের দাবিগুলোর প্রতি আমাদের সম্মান জানাতে হবে এবং সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
এনটিভির চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক আলী ফালু বলেন, ঘোষণা ও বাস্তবায়ন দুটো ভিন্ন জিনিস। আমরা শুধু ঘোষণা দিলে আর দাবি জানালে হবে না। সেটির বাস্তবায়ন ঘটাতে হবে। শুধু বিজ্ঞাপন বন্ধ করা আমাদের কাজ নয়, আরো অনেক কাজ আছে। শিল্পী ও কলাকুশলীরা যেভাবে সমবেত হয়েছিলেন সেটি খুবই দুঃখজনক। তাদের দাবির আগেই আমাদের সেটি ভাবা উচিত ছিল। তারা আমাদের সংস্কৃতিকে সবার মাঝে তুলে ধরছেন।
ডাবিং অনুষ্ঠান কতটুকু করা যাবে, সেটি বাংলাদেশি সংস্কৃতির জন্য কতটুকু উপকারী, সেটির প্রতি নজর রাখতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর বলেন, আমরা মিডিয়ার লোকেরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চাই।
চ্যানেল ২৪-এর চেয়ারম্যান এ কে আজাদ বলেন, কারো সমালোচনা করার আগে আমাদের নিজেদের আত্মসমালোচনা করা প্রয়োজন। আমাদের নিজেদের বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকা উচিত। মিডিয়া সবসময় সমাজের অসংগতি তুলে ধরে। আমরা নিজেরাই যদি অসংগতির সঙ্গে যুক্ত থাকি তাহলে কোনো সমস্যারই সমাধান হবে না।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস