বাংলা৭১নিউজ, ফরিদপুর প্রতিনিধি: বিজয়ের মাসে লাল-সবুজে মিলে ওরা আসে বোয়ালমারীতে জাতীয় পতাকা বিক্রি করতে। এ বিজয়ের মাসে, লাল-সবুজ মিশে, স্বাধীনতার চেতনাকে বাঙালী জাতিকে আবারো মনে করিয়ে দিতে আসে। ডিসেম্বর এলেই সবুজের বুকে লাল পতাকা হাতে দেখা মেলে ওদের। এ মাসে জাতীয় পতাকা বিক্রিতে আত্মতৃপ্তি পায় ওরা। এমন একজন ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলার বাসিন্দা রুমান (২৫)। মঙ্গলবার সকালে কথা হয় সেই পতাকা বিক্রেতার সাথে। পতাকা বিক্রেতা রুমান ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা। ২ বোন ১ ভাইয়ের মধ্যে রুমান সবার বড়। স্বাধীনতার বীর যোদ্ধাদের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা রেখেই সে গত ৩ বছর ধরে বিজয়ের পতাকা বিক্রিতে নেমেছে বিভিন্ন জেলা উপজেলা শহরে। বছরের ১১টি মাস ঢাকায় রিক্রাা চালায় বিজয়ের মাস এলে সে নেমে পড়ে ৩০ লাখ শহীদের রক্তে অর্জিত জাতীয় পতাকা হাতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। আর এ পতাকা তুলে দেন স্বাধীন দেশের নতুন প্রজন্মের হাতে হাতে। পতাকা বিক্রেতা দিনমুজুর রুমান বলেন, তার কাছে স্টিকার, লাঠি পতাকা, মাথার ফিতা, জিরো পতাকা, ২ ফুট, সাড়ে ৩ ফুট এবং ৫ ফুট পতাকা রয়েছে। ছোট ছোট কোমলমতি শিশুদের কাছে বিক্রি করেন স্টিকার। রিক্সা, ভ্যান ও সাইকেল চালকদের কাছে লাঠি পতাকা বিক্রি করেন । জিরো পতাকা বিক্রি করেন মোটরসাইকেল এবং ছোট যানবাহনের চালকদের কাছে। আর মাথার ফিতা বিক্রি স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছে। ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন সাইজের পতাকা বিক্রি করছে। কেন বিজয়ের মাসে জাতীয় পতাকা বিক্রি করেন? এ প্রশ্নের জবাবে রুমান বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে পশ্চিম পাকিস্তানের হাত থেকে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এ স্বাধীনতা। স্বাধীনতার এ দেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশ স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৬ বছরে পদার্পনে আমাদের নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাগ্রত করাই মূলত আমাদের লক্ষ্য হওয়া উঠিত।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস