যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের এক ডজন কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এই কর্মকর্তারা ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তদন্তে জড়িত ছিলেন বলে জানিয়েছে সিবিএস নিউজ। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএইড) কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকেও ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।
তারা প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশ অমান্য করার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে তাদের পূর্ণ বেতন ও অন্যান্য সুবিধা চলমান থাকবে বলে জানা গেছে। খবর বিবিসির।
যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা বিশ্বের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে পরিচিত। এটি ২০২৩ সালে ৬৮ বিলিয়ন ডলার অর্থ ব্যয় করেছে। এদিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও তিনটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এর একটি সামরিক বাহিনীতে থাকা ট্রান্সজেন্ডারদের বিষয়ে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এছাড়া কোভিড ভ্যাকসিন না নেওয়ার কারণে যেসব সেনাসদস্যকে বাদ দেওয়া হয়েছিল, তাদের পুনর্বহালের বিষয়েও একটি আদেশে স্বাক্ষর করবেন তিনি। ট্রাম্প ব্যাপকভাবে অবৈধ অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর কথা বলার পর রোববার অন্তত এক হাজার অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে।
মার্কিন অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ বিভাগের (আইসিই) নেতৃত্বে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এর আগে শনিবার ২৮৬, শুক্রবার ৫৯৩ ও বৃহস্পতিবার ৫৩৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার ও বিতাড়নের সংখ্যা ক্রমেই বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শিকাগো, নিউজার্সির নিউয়ার্ক ও মায়ামিসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে পরিচালিত অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক কেন্দ্রীয় সংস্থা অংশ নেয়। এই অভিযান আরও কয়েক দিন চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে আইসিই লিখেছে, রোববার দেশজুড়ে ৯৫৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে শিকাগোয় এই ‘বাড়তি অভিযান’ ছাড়াও আটলান্টা, পুয়ের্তো রিকো, কলোরাডো, লস অ্যাঞ্জেলেস, অস্টিন ও টেক্সাস শহরে অভিবাসনসংক্রান্ত কর্মকর্তাদের তৎপরতা রয়েছে।
ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারে অবৈধ অভিবাসীদের ব্যাপকহারে বহিষ্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ক্ষমতায় এসে অভিবাসন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে তিনি ২১টি নির্বাহী আদেশ জারি করেন। শিকাগোতে পরিচালিত অভিযানের তত্ত্বাবধানে ছিলেন ট্রাম্পের সীমান্ত বিষয়ক উপদেষ্টা টম হোমান। তবে, তার এই কঠোর পদক্ষেপ ডেমোক্র্যাট নেতাদের অসন্তুষ্ট করেছে।
শিকাগোর মেয়র ব্র্যান্ডন জনসন আইসিইয়ের অভিযানের কথা স্বীকার করে বলেন, শিকাগো পুলিশ এতে অংশ নেয়নি। তিনি বাসিন্দাদের তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
বাংলা৭১নিউজ/একেএম