বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৩:২৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
যশোরে মরুর উত্তাপ, দেশের সর্বোচ্চ ৪৩.৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড ‘প্রবাসীদের সমস্যা আমার জানা, সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ দুদকের প্রথম নারী মহাপরিচালক শিরীন পারভীন ইসলামী ব্যাংকের কুমিল্লা জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত ২০ মে থেকে ৬৫ দিন সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচিতে ৩৯ হাজার বই দিলো বিকাশ ফিলিস্তিনিদের ধাওয়া খেয়ে পালালেন জার্মান রাষ্ট্রদূত বৃক্ষরোপণে ন্যাশনাল গাইডলাইন্স প্রণয়নের নির্দেশ পরিবেশমন্ত্রীর বৃষ্টিতে সিলেটে বন্ধ বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ গুচ্ছের ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৫০৭৬০ সাংবাদিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠাই হোক মে দিবসের অঙ্গীকার দাবদাহে দ্বিগুণ সেচ খরচে দিশেহারা চাষিরা রেলওয়ের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় রাশিয়া ১৫ শতাংশ শ্রমিকের সম্মতিতে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করা যাবে ৩৬ বছরে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪৩.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড মুন্সিগঞ্জে হিট স্ট্রোকে দুজনের মৃত্যু বন্যা আতঙ্কে দ্রুত ধান কাটছেন হাওরের কৃষকরা ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক দিয়ে ঢাকায় সড়ক নির্মাণ ভরিতে আরও ৪২০ টাকা কমলো সোনার দাম পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে বাংলাদেশ অঙ্গীকারবদ্ধ

বিচারপ্রার্থীকে হয়রানী না করতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৯
  • ৩৬ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: কোনো বিচারপ্রার্থী যেন হয়রানির শিকার না হয় তা নিশ্চিত করতে আইন পেশায় সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিচারের বাণী যেন নীরবে নিভৃতে না কাঁদে তা নিশ্চিত করতে হবে। আজ সকালে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০১৯ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

২০১৩ সাল থেকে প্রতিবছর ২৮শে এপ্রিল এ দিবসটি পালন করে আসছে সরকার। অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সকলের জন্য ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করাই এর লক্ষ্য।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা আরও বলেন, দেশে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব  যেমন বিচারকদের তেমনি আইন পেশার সঙ্গে জড়িতদেরও। মামলার দীর্ঘসূত্রিতা কমিয়ে দ্রুততম সময়ে রায় প্রদানের উপায় বের করার আহ্বান জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক সংগ্রাম এবং ত্যাগের বিনিময়ে আমরা দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছি। গণতন্ত্র না থাকলে আইনের শাসন যেমন সুপ্রতিষ্ঠিত হয় না,  তেমনি আইনের শাসন না থাকলে গণতন্ত্র টেকসই হয় না। আর আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, দেশে এখন জমিজমা সংক্রান্ত মামলার সংখ্যাই বেশি।

এগুলো আপোষ মীমাংসার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা গেলে মামলা জট কমবে।

গুরুতর ফৌজদারী অপরাধ যেমন খুন ধর্ষণ ইত্যাদি আদালতের ওপর ছেড়ে দিতে হবে এমন নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতে অপরাধীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা যাবে। বলেন, আমরা সর্বস্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে একটি উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এমন একটি সমাজ বিনির্মাণ করতে চাই  যেখানে ধনী-দরিদ্রের কোন বৈষম্য থাকবে না এবং জনগণ মৌলিক অধিকারসমূহ ভোগ করে নিজেরা নিজেদের ভাগ্যোন্নয়ন করতে পারবেন।

সরকারি আইন সহায়তা কার্যক্রম বৈষম্য দূর করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তৃনমূল পর্যায়ে এ কার্যক্রমের বিস্তার ঘটিয়ে এটিকে একটি স্থায়ী প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিতে আমি দেশি বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, দাতা গোষ্ঠী, আইনজীবী, বিচারকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক রাষ্ট্রের প্রতিটি মানুষের সাংবিধানিক অধিকারগুলো তুলে ধরে বলেন, ন্যায় বিচারে সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আইনগত সহায়তা প্রদান আইন ২০১০-এর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে দরিদ্র ও অসহায় মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে এ আইন ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক মামলার জট রয়েছে যার নিরসনে  জেলা লিগাল এইড অফিস স্থাপনের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। টোলফ্র্রি জাতীয় হেল্প লাইন চালুর করে মানুষকে সেবা দেয়া হচ্ছে। আইনি সেবার পরিকল্পনার সময় বিরোধের ধরন ও উৎস বিবেচনা করতে হবে। এ লক্ষ্যে জনসচেতনতা বাড়ানোর ওপরও জোর দেন আইনমন্ত্রী।

বাংলা৭১নিউজ/এম.এ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com