মঙ্গলবার সকালে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অপরপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এম আমীরুল ইসলাম।
গত ১১ ডিসেম্বর শৃঙ্খলাবিধিমালার গেজেট প্রকাশ করে সরকার। এরপর ১৩ ডিসেম্বর গেজেটের বিষয়ে আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ থাকলেও এ বিষয়ে কোনো আদেশ না দিয়ে ২ জানুয়ারি পরবর্তী দিন নির্ধারণ করে সর্বোচ্চ আদালত।
অধস্তন বিচারকদের চাকরি বিধির গেজেট প্রকাশ নিয়ে অসংখ্যবার সময় নেয় সরকার। এ নিয়ে আদালতকে ক্ষোভ প্রকাশ করতেও দেখা যায়।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেয়া হয়। ওই রায়ের আলোকে অধঃস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল।
কিন্তু দীর্ঘদিনেও তা প্রণয়ন না হওয়ায় আপিল বিভাগের নির্দেশনায় ২০১৫ সালের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় একটি খসড়া শৃঙ্খলাবিধি প্রস্তুত করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়।
২০১৬ সালের ২৮ আগস্ট এ বিষয়ে শুনানিকালে আপিল বিভাগ বলেন, একটি খসড়া ডিসিপ্লিনারি রুলস তারা (সরকার) দাখিল করেছে। এটি ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার হুবহু অনুরূপ, যা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী। এখন আমরা কমিটি করে একটি রুলস তৈরি করে দিয়েছি।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস