বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:২৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
যাত্রাবাড়ীতে বিপন্ন প্রজাতির হনুমান পাচারের সময় গ্রেপ্তার ২ ব্যারিস্টার আরমানের স্ত্রীকে হেনস্তা করিয়েছিলেন টিউলিপ: রিপোর্ট কামরুল-পলকসহ ৫ জন নতুন মামলায় গ্রেফতার বেনজীরের স্ত্রী ও মেয়ের আয়কর নথি জব্দের আদেশ ভৈরব থানার লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার অবশেষে মায়ের বুকে ছেলে পোষ্য কোটা বাতিলসহ ৯ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের অনশন বাঘাবাড়ী নৌবন্দর নাব্য সংকট, ভিড়তে পারছে না জাহাজ নিয়োগ দুর্নীতি : ওয়াসার তাকসিমসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা নির্বাচন সংস্কারে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের ১১ প্রস্তাব লন্ডনে পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া ট্রাম্পের মানচিত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অঙ্গরাজ্য কানাডা ২০২৪ সালে সড়কে নিহত ৭ হাজারের বেশি : রোড সেফটি ফাউন্ডেশন সিরিয়ার কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অভিযানের হুমকি তুরস্কের টিসিবির নতুন চেয়ারম্যান ব্রি. জেনারেল ফয়সাল আজাদ একনেকে ৪ হাজার কোটি টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন ঢাকায় ছিনতাই বেড়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করলেন ডিএমপি কমিশনার বিডিআরের নিরপরাধ সদস্যদের মুক্তির দাবিতে পদযাত্রায় পুলিশের বাধা রায়েরবাজারে পরিত্যক্ত অবস্থায় ২৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার ফেলানীর পরিবারের দায়িত্ব নিলেন আসিফ মাহমুদ

বিকাশ অ্যাপে সিটি ব্যাংকের ঋণে ‘পে-লেটার’ সেবা চালু

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা:
  • আপলোড সময় সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০২৪
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে

জরুরি প্রয়োজনে কেনাকাটাকে আরো সহজ করে দিতে প্রথমবারের মতো ডিজিটাল ক্ষুদ্র ঋণের আওতায় ‘পে-লেটার’ নামের বিশেষ জামানতবিহীন ক্ষুদ্র ঋণ সেবা যৌথভাবে চালু করল সিটি ব্যাংক ও বিকাশ। অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকলেও গ্রাহক এখন প্রয়োজনীয় পণ্য কিনে বিকাশ অ্যাপ থেকেই সিটি ব্যাংকের এই বিশেষ ঋণ নিয়ে সরাসরি মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন। সাত দিনের মধ্যে এই অর্থ পরিশোধ করলে গ্রাহককে কোন ইন্টারেস্ট দিতে হবে না।

সোমবার সিটি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই বিশেষ ডিজিটাল ক্ষুদ্র ঋণ ‘পে-লেটার’ এর সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন এবং বিকাশ-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর। এসময় উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রাপ্তির যোগ্যতা সাপেক্ষে গ্রাহককে ৫০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা পর্যন্ত একটি সমন্বিত ঋণ সীমা দেওয়া হবে, যার মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে পে-লেটার এবং ডিজিটাল ক্ষুদ্র ঋণ উভয়ই ব্যবহার করতে পারবেন।

আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জরুরি এবং নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কেনার ক্ষমতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে এই পে-লেটার সেবা চালু করা হয়েছে। সারাদেশে ৬ লাখের বেশি মার্চেন্ট পয়েন্ট থেকে বিকাশ অ্যাপ দিয়ে কেনাকাটা করে পে-লেটার সেবা ব্যবহারের সুযোগ পাবেন গ্রাহক।

এই ঋণের জন্য বিবেচ্য গ্রাহক তার প্রয়োজনীয় পণ্য বা সেবা নিয়ে মার্চেন্ট এর কোড স্ক্যান করার পর অথবা সরাসরি মার্চেন্ট নম্বর বসিয়ে, টাকার পরিমাণ বসাবেন এবং পে-লেটার নির্বাচন করবেন। পরে স্ক্রিনে তাকে সাত দিনে ইন্টারেস্টবিহীন পরিশোধ অথবা ৩/৬ মাসে পরিশোধের যেকোনো একটি পদ্ধতি নির্বাচন করতে হবে।

সাত দিনে ইন্টারেস্টবিহীন পরিশোধ পদ্ধতিতে গ্রাহক যদি সপ্তম দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ পরিশোধ না করতে পারেন, তাহলে পে-লেটারটি ৩ মাসের ক্ষুদ্র ঋণে পরিণত হয়ে যাবে এবং বার্ষিক ৯ শতাংশ ইন্টারেস্ট প্রযোজ্য হবে।

৬ মাসে পরিশোধ পদ্ধতিতে গ্রাহককে ২০ শতাংশ ডাউনপেমেন্ট শুরুতেই দিতে হবে এবং বাকি ৮০ শতাংশ পে-লেটারের মাধ্যমে সমান কিস্তিতে ভাগ হয়ে প্রতি মাসের নির্দিষ্ট তারিখে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিশোধ হয়ে যাবে। এক্ষেত্রেও বার্ষিক ৯ শতাংশ ইন্টারেস্টে প্রযোজ্য হবে। উভয়ক্ষেত্রেই ০.৫৭৫ শতাংশ ভ্যাটসহ প্রসেসিং ফি যুক্ত থাকবে। 

সিটি ব্যাংক ও বিকাশ-এর হাত ধরেই প্রথম ডিজিটাল ক্ষুদ্র ঋণের যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। ২০২১ সালে চালু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮ লাখ বার ডিজিটাল ক্ষুদ্র ঋণ নিয়েছেন আড়াই লাখের অধিক গ্রাহক, টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ প্রায় ৭৫০ কোটি।

গ্রাহকের বিকাশ লেনদেন এবং সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট পলিসির ওপর ভিত্তি করে ঋণ পাওয়ার উপযুক্ততা এবং ঋণের পরিমাণ নির্ধারিত হয়। এই সেবার আওতাভুক্ত হতে গ্রাহককে অবশ্যই ই-কেওয়াইসির মাধ্যমে নিবন্ধিত হতে হবে। গ্রাহক বিকাশ অ্যাপ থেকেই তথ্য হালনাগাদের মাধ্যমে ই-কেওয়াইসি গ্রাহক হিসেবে নিবন্ধন হালনাগাদ করে নিতে পারবেন।

একজন ঋণগ্রহীতা মেয়াদ পূর্তির আগেও ঋণ পরিশোধ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে তাকে শুধু সেই ক’দিনের জন্যই ইন্টারেস্ট বহন করতে হবে। অগ্রিম নিষ্পত্তির জন্যও কোনো বাড়তি খরচ হবে না। ঋণগ্রহীতাদের নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ঋণ পরিশোধ স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে।

অনুষ্ঠানে সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন বলেন, ‘ডিজিটাল ক্ষুদ্রঋণের সবচেয়ে ভালো বৈশিষ্ট্য এই যে গতানুগতিক পদ্ধতিতে ঋণ দিয়ে যে সংখ্যক গ্রাহককে ঋণ প্রদান সম্ভব তার চেয়ে কয়েকগুণ গ্রাহককে এই সুবিধার আওতায় আনা সম্ভব হয়। তারচেয়েও বড় কথা, যেসব জায়গায় আমাদের শাখা বা এজেন্ট পয়েন্ট নেই সেসব গ্রামীণ এলাকার প্রান্তিক গ্রাহকদের কাছেও আমরা আমাদের ব্যাংকিং সুবিধা দিতে পারছি।’

এ প্রসঙ্গে বিকাশ-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর বলেন, ‘ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা মানুষের জন্য ব্যাংকের ঋণ সহজলভ্য করেছে বিকাশ। এই জনগোষ্ঠীর নানান রকম জরুরি কেনাকাটার প্রয়োজনকে বিবেচনায় রেখে এই যৌথ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা ক্যাশবিহীন লেনদেনের ইকোসিস্টেম তৈরিতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। যেমন-একজন কৃষক আজ সার কিনতে এসে অর্থাভাবে জরুরি কাঁচামালের জন্য তার কৃষি কাজ বন্ধ রাখবেন না। এই সেবার ফলে তিনি কাঁচামাল হাতে পাবেন, যা তার উৎপাদনশীলতা অটুট রাখবে। পে-লেটার সেবা গ্রাহক এবং মার্চেন্টকে ডিজিটাল পেমেন্টে আরো উদ্বুদ্ধ করবে এবং অভ্যস্ততা বাড়াবে।’

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com