অন্তঃহীন মহাশূন্যের রহস্য অনেক বেশি আকৃষ্ট করে ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাফিজুলকে। তাই মহাকাশ বিষয়ক বই পেলেই পড়া শুরু করেন নাফিজুল।
সম্প্রতি ক্ষুদে এ পাঠকের স্কুল লাইব্রেরিতে বিকাশের উদ্যোগে এবং প্রথম আলো ট্রাস্টের সহযোগিতায় যুক্ত হয়েছে আরও প্রায় ৪০০ বই, যা তার বই পড়ার ঝোঁক আরও বাড়িয়ে তুলতে ভূমিকা রাখবে।
কেবল নাফিজুল ও তার স্কুল নয়, সারাদেশে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সমন্বিত উদ্যোগে গড়ে ওঠা লাইব্রেরির পাঠকদের কাছে লাখেরও বেশি বই পৌঁছে দেওয়া কার্যক্রম শুরু করেছে মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশ, সহযোগিতায় আছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। এ বছর ২৫টি জেলার ৩৯৩টিরও বেশি লাইব্রেরিতে পৌঁছে দেওয়া হবে বইগুলো।
গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবছরও ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত অমর একুশে বইমেলা প্রাঙ্গণে আসা লেখক-পাঠক-দর্শনার্থীদের কাছ থেকে বই সংগ্রহ করে বিকাশ। পাশাপাশি, বিকাশ এর অর্থায়নে আরও বই কিনে যুক্ত করা হয় এ উদ্যোগে। ‘মেধার বিকাশ ঠেকায় কে’-স্লোগানে শুরু হয় এ বছরের বই সংগ্রহ কার্যক্রম।
সারাদেশের সববয়সী পাঠকদের কাছে গল্প, কবিতা, উপন্যাস, বিজ্ঞানবিষয়ক, ধর্মীয়, আত্মউন্নয়নমূলক বইসহ নানান ধরনের বৈচিত্র্যপূর্ণ বই সহজলভ্য করতে বিকাশ এ ভিন্নধর্মী উদ্যোগ গ্রহণ করে। গত কয়েক বছরে লাখো পাঠক-লেখক-দর্শনার্থী বই অনুদান দিয়ে বিকাশের এ কার্যক্রমে সংযুক্ত হয়েছে।
বিকাশ গত সাত বছর ধরে বইমেলার মূল পৃষ্ঠপোষক হিসেবে যুক্ত রয়েছে। আর গত ৫ বছর ধরে বই সংগ্রহ উদ্যোগ চালু রয়েছে যার মাধ্যমে বিগত ৪ বছরে দেশের বিভিন্ন সুবিধাবঞ্চিত স্কুলসহ বিভিন্ন ধরনের লাইব্রেরিতে ১ লাখ ৪৭ হাজার বই বিতরণ করেছে বিকাশ।
মেলায় আসা পাঠক, লেখক, দর্শনার্থীদের থেকে পাওয়া অনুদানের বইয়ের সঙ্গে বিকাশের পক্ষ থেকে আরও বই কিনে পৌঁছে দেওয়া হয় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য।
বিকাশের উদ্যোগে বই সংগ্রহ ও বিতরণের এ আয়োজনে গত বছর থেকে যুক্ত হয়েছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। চুয়াডাঙ্গার স্বয়ম্ভর পাবলিক লাইব্রেরিতে বই দেওয়ার মাধ্যমে শুরু হয়েছে এ বছরের বিতরণ কার্যক্রম। এখন পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জামালপুর, রংপুর, যশোর, ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন লাইব্রেরিতে বই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ