বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ মো. রিয়াদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন এক রোগী। ১৭ বছর বয়সী ওই চর্ম রোগী দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত।
আজ ঢাকা মেট্রোপলিন ম্যাজিস্ট্রেট নুরন্নাহারি ইয়াসমিনের আদালতে ভিকটিম হিসেবে ফৌজদারি কার্যবিধির ২২ ধারায় ওই রোগী এ জাবানবন্দি দেন।
জাবানবন্দিতে ডাক্তারের বিরুদ্ধে ওই রোগী ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণের বর্ণনা দেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে ওই ভিকটিমকে (রোগী) আদালত তার বাবা-মার জিম্মায় যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, ওই ডাক্তার প্রতি শুক্রবার বিএসএমএমইউ (পিজি) থেকে ভোলা সদর রোডের যমুনা মেডিকেলে রোগী দেখেন। জনৈক কামাল হোসেনের ১৭ বছর বয়সী মেয়ে চর্ম রোগে আক্রান্ত।
২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর সে ভোলার সদর রোডের যমুনা মেডিকেলে চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ মো. রিয়াদ সিদ্দিকীকে দেখান। প্রথম সাক্ষাতে রিয়াদ সিদ্দিকী রোগীকে (ধর্ষণের শিকার ছাত্রী) বিবস্ত্র করে যৌনাঙ্গসহ শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে মলমজাতীয় ওষুধ লাগান।
রোগী বাধা দিলে ডাক্তার বলেন, আমার কাজ তোমার (রোগীর) চিকিৎসা করা, এগুলো আমি করবই। এরপর ২৯ ডিসেম্বর ফের চিকিৎসা নিতে সাক্ষাতে গেলে ডাক্তার জোরপূর্বক একইভাবে তাকে বিবস্ত্র করে এবং তার সঙ্গে যৌন কাজে লিপ্ত হয়। রোগী চিৎকার করলে তার মুখ ওড়না দিয়ে বেঁধে ফেলে। বিষয়টি কাউকে জানালে গোপনে ধারণ করা ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়া হবে বলে হুমকি দেন ওই ডাক্তার।
এরপর ৩০ ডিসেম্বর ডাক্তার রোগীর বাবাকে ফোন করে জরুরি ভিত্তিতে ঢাকায় আসতে হবে বলে জানায়। কারণ জানতে চাইলে ওই ডাক্তার রোগীর বাবা-মাকে বলেন, পিজি হাসপাতালের অভিজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে বোর্ড বসানো হবে, সেখানে রোগীকে দেখানো হবে। পরদিন রোগীসহ বাবা-মা পিজি হাসপাতালে পৌঁছলে ওই ডাক্তার রোগীকে হাসপাতালের ৪তলায় একটি নির্জন রুমে নিয়ে যায়। সেখানে রোগীকে ওই ডাক্তার জোরপূর্বক ফের ধর্ষণ করে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় সোমবার রোগীর বাবা কামাল হোসেন বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। ওই থানার এসআই রিপন কুমার বিশ্বাস মামলাটি তদন্ত করছেন।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস