বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: বিগত সময়ে যারা বিএনপিকে ধ্বংস করতে ষড়যন্ত্র করেছিল নতুন কমিটিতে তারাই গুরুত্বপূর্ণ পদে এসেছে বলে জানিয়েছেন দলটির নীতি নির্ধারক স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ।
নতুন ওই কমিটিতে ত্যাগী ও যোগ্যদের যথাযথ মুল্যায়ন করা হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ‘সাগর-রুনি মিলনায়তনে’ এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী তাঁতি দল এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
হান্নান শাহ বলেন, বিগত দিনে যারা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে গালাগালি দিয়েছে, বিএনপিকে ভাঙার ষড়যন্ত্র করেছে, এমনকি মান্নান ভূঁইয়ার আশপাশে ঘুরঘুর করেছে, তারাই বিএনপির নতুন কমিটিতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছেন।
আর যারা মাঠের রাজনীতিতে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাদের সবাইকে যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি। অথচ যাদের নামে একটিও মামলা নেই, তারাও রয়েছে বিএনপির নতুন কমিটির বিভিন্ন পদে। তাদের অধিকাংশ নেতাই অপরিচিত। যাদের রাজনীতিতে কোনো অবদান নেই।
পদ বঞ্চিতদের আগামী কাউন্সিল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেওয়া বক্তব্যের বিষয়েও কথা বলেন দলটির এই নীতি নির্ধারক।
তিনি বলেন, পদবঞ্চিতদের কাউন্সিল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলাটা ঠিক না। কমিটিতে যারা স্থান পেয়েছেন ভবিষ্যতে তারা যদি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সরকারের এজেন্ডা বাস্তাবায় করে তাহলেও কি তাদের কমিটিতে রাখতে হবে?
কমিটি নিয়ে কিছুটা ভুল হয়েছে স্বীকার করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আশা করি, দলের চেয়ারপারসন দ্রুত এর সমাধান করবেন।’
বিএনপির কমিটি নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাদের নেতিবাচক মন্তব্যেরও সমালোচনা করেন হান্নান শাহ। তাদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপিতো কাউন্সিল করে কমিটিও ঘোষণা করেছে। আপনরা তো কাউন্সিল আজ নয়, কাল বলে বলে সময় পার করছেন। তাই নিজেদের চেহরাটা একটু আয়নায় দেখেন।’
তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিএনপির রাজনীতিতে আসা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যকে ‘মায়াকান্না’ বলে অভহিত করেন হান্নান শাহ।
আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কামাল আজাদের সভাপতিত্বে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য ইউনুস মৃধা, ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা আব্দুল মালেক প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বাংলা৭১নিউজ/এস