বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সামনে গুলি, পুলিশ বলছে ‘মিসফায়ার’ বিদেশযাত্রায় দালালের দৌরাত্ম্য কমাতে দেওয়া হচ্ছে সাজা ও অর্থদণ্ড পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি অনেকাংশে সংযত করতে পেরেছি দেশে সাড়ে ১১ লাখ টন খাদ্য মজুত আছে : খাদ্যমন্ত্রী নাটোরে ঋণের চাপে স্বামী-স্ত্রীর একসঙ্গে বিষপান কাউন্সিলরের ১০ বছরের কারাদণ্ড নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে জাইকার প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ তিন দেশ থেকে ২৮২ কোটি টাকার ইউরিয়া সার আনবে সরকার ঝড়ের কবলে পড়ে সাগরে ডুবে গেছে লবণ বোঝাই ১০ ট্রলার ভোট পড়েছে ৩০-৪০ শতাংশ : সিইসি একলাফে ডলারের দাম ৭ টাকা বাড়ালো বাংলাদেশ ব্যাংক ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা : রুমানা আলী ভারতের পররাষ্ট্র-সচিবের সফরে সীমান্ত হত্যার প্রসঙ্গ তুলবে ঢাকা ভাঙা রেললাইনে বস্তা গুঁজে চলছে ট্রেন কেন্দ্র দখল করতে অর্ধশত ককটেল বিস্ফোরণ, সংঘর্ষে আহত ১৫ বুশরা বিবিকে বাড়ি থেকে কারাগারে স্থানান্তরের নির্দেশ আমি সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলে যাব: প্রধানমন্ত্রী ঝিনাইদহে ৫ ঘণ্টায় ৭ ভোট! ওমরাহ শেষে দেশে ফিরলেন মির্জা ফখরুল

বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে বিদ্যুৎ খাতকে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল: প্রধানমন্ত্রী

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
  • ১৮৩ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে দেশের বিদ্যুৎ খাতকে যেভাবে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তা নজিরবিহীন, যা পৃথিবীর আর কোথাও দেখা যায়নি।তিনি আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ-২০১৮’ উদ্‌যাপনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোটে সরকার গঠন করে বিদ্যুৎ পেয়েছিলাম মাত্র ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট। চারদিকে হাহাকার। এ দেশের অধিকাংশ মানুষের ঘরে আলো ছিল না। সেই অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য প্রথম আইন করে আমরা বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করি এবং বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দিই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই ১ হাজার ৬০০ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪ হাজার ৩০০ মেগাওয়াটে নিয়ে যেতে সক্ষম হই। সেই সঙ্গে জেনারেটরের ওপর থেকে সব ট্যাক্স তুলে দিই এবং শিল্প-কারখানার মালিকদের বলে দিই, আপনারাও আপনাদের মতো বিদ্যুৎ উৎপাদন করুন এবং সেই বিদ্যুৎ আশপাশে বিক্রিও করতে পারবেন। আমরা গ্রিডলাইন আপনাদের ভাড়া দেব।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৯ সালে যখন আমরা সরকারে আসি, তখন দেখি, বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ যা আমরা রেখে গিয়েছিলাম, তার চেয়ে কমে ৩ হাজার ২০০ মেগাওয়াট হয়ে গেছে।’

পৃথিবীর আর কোনো দেশের জনগণের এ ধরনের তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে বলে তাঁর জানা নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পাঁচ বছরে কোনো দেশ এভাবে পিছিয়ে যায়, সেটাও আমার জানা ছিল না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ ৬ দশমিক ২৫ টাকা/কিলোওয়াট এবং বিক্রয়মূল্য রাখা হয়েছে ৪ দশমিক ৮২ টাকা/কিলোওয়াট। কাজেই এখানে আমরা ভর্তুকি দিচ্ছি। অর্থাৎ বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে খরচ, তা আমরা গ্রাহকের কাছ থেকে নিচ্ছি না। তবে ভবিষ্যতে এ ব্যবস্থা হয়তো রাখা সম্ভব হবে না।’ তিনি আরও বলেন, মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন যত হতে থাকবে, ভবিষ্যতে বিদ্যুতে যতটা খরচ হবে, ততটাই তাদের প্রদান করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সে ক্ষেত্রে আমার একটা অনুরোধ থাকবে, বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে। বিদ্যুতের অপচয় বন্ধের জন্য আমি অনুরোধ জানাই।’

প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত বিমসটেক সম্মেলনে বিদ্যুৎ খাত নিয়ে আলোচনা করেছেন উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা একটা বিমসটেক সোলার গ্রিড লাইন করে দিচ্ছি। এই আন্তদেশীয় গ্রিডলাইনের মাধ্যমে কে কত বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে, তা থেকে বাংলাদেশ কিনবে, এটা আমরা স্পষ্ট করে ফেলেছি। আঞ্চলিক সহযোগিতার যুগান্তকারী পদক্ষেপটা আমরা ইতিমধ্যেই গ্রহণ করেছি।’

তাঁর সরকার বিগত সাড়ে নয় বছরে দেশের বিদ্যুৎ খাতের সম্প্রসারণে বেশ কিছু আঞ্চলিক চুক্তি স্বাক্ষর করে—এ কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের সহযোগিতা চুক্তির আওতায় স্থাপিত দুই দেশের বিদ্যুৎ সঞ্চালন কেন্দ্রের মাধ্যমে ভারত থেকে প্রথম গ্রিড আন্তসংযোগের মাধ্যমে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। এ ক্ষমতা এক হাজার মেগাওয়াটে উন্নীতের কাজ চলছে। বাংলাদেশ-ভারত দ্বিতীয় গ্রিড আন্তসংযোগ উদ্বোধনের মাধ্যমে ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। ভারত থেকে আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

পাশাপাশি নেপাল ও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত মাসেই তাঁর সরকার নেপালের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। বাংলাদেশ, ভুটান ও ভারতের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের অপেক্ষায় রয়েছে।

‘অনির্বাণ আগামী’ প্রতিপাদ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সরকারের সাফল্যকে তুলে ধরার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদানে এই জ্বালানি সপ্তাহ উদ্‌যাপিত হচ্ছে।

জ্বালানি সপ্তাহের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে আছে স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের বিতর্ক প্রতিযোগিতা, জ্বালানি বিষয়ে সেরা প্রতিবেদনের জন্য সাংবাদিক ও দক্ষ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পুরস্কার প্রদান এবং গৃহস্থালি, শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ী গ্রাহকদের সম্মাননা দেওয়া হবে।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন নেপালের জ্বালানি, পানিসম্পদ ও সেচবিষয়ক মন্ত্রী বর্ষা মান পুন অনন্ত, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব আহমেদ কায়কাউস অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ বিভাগে সরকারের সাফল্য ও পরিকল্পনা নিয়ে উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে সরকারের বিদ্যুৎ খাতের সাফল্য নিয়ে একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শিত হয়।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com