বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: নির্বাচন নিয়ে কোনো সাংবিধানিক প্রস্তাব বিএনপি বিগত ৯ বছরে দিতে পারেনি। শুধু আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য আলোচনার প্রস্তাবটা কার্যত কালক্ষেপণ ও অস্থিরতা তৈরির একটা অপকৌশল মাত্র। ফখরুল সাহেবের সম্প্রতি ভাষণে বলেছেন, সংলাপে যখন ডাকা হবে তখন প্রস্তাবনা দেওয়া হবে। তাহলে সংলাপ কেন ডাকব? রোববার সচিবালয়ে নিজ দফতরে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কেবল আগামী নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনার প্রয়োজন থাকতে পারে না। বিএনপির সহায়ক সরকারের প্রস্তাবটি আসলে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র। তাদের নির্বাচনে না আসার ওসিলা তৈরি করা। একটা অস্বাভাবিক সরকার আনার একটি অপকৌশল মাত্র।
ইনু বলেন, বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন নিয়ে সংকটের ওসিলা তৈরি করছে, সংলাপের নামে, সহায়ক সরকারের প্রস্তাবের নামে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে আড়াল করা এবং হালাল করার একটি অপচেষ্টার প্রয়াসে লিপ্ত আছে। সুতারাং নির্বাচন ও গণতন্ত্র, সংলাপ ও সহায়ক সরকারের মুখোশ পরে বিএনপি আসলেই নির্বাচন বানচালের একটি চক্রান্তের জাল বিস্তার করে চলেছে।
তিনি বলেন, আমি আগেই বলেছি, দেশে কোনো সংকট নেই। না সাংবিধানিক সংকট, না রাজনৈতিক সংকট কিংবা আইনগত কোনো সংকট। তবে সংকট তৈরি হয় যদি কোনো জনগোষ্ঠীকে অধিকার হারা করা হয়। আবার যদি কোনো জনগোষ্ঠী প্রচলিত ব্যবস্থার বিরেুদ্ধে গণবিদ্রোহ করে অথবা গণতন্ত্র সংকোচিত করার জন্য কোনো সাংবিধানিক, প্রশাসনিক ও আইনগত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় তখন সংকট তৈরি হয়। আর সেটা এখন হচ্ছে না।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, তবে এই মুহূর্তে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হচ্ছে বড় সমস্যা। তাদের আগুন সন্ত্রাসের অস্ত্র ব্যবহার করাটাও সমস্যা। বিএনপি-জামায়াত আগুন সন্ত্রাসের দায় স্বীকার করতে চায়নি। এক্ষেত্রে আমি বলব, এটা ঢেকে রাখা যাবে না। ৯৩ দিনের আগুন যুদ্ধে বেগম খালেদা জিয়ার প্রত্যক্ষ নেতৃত্ব সম্পর্কে দেশবাসী জানেন।
মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চিয়তা নেই। নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। সুতারাং নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় সরকারের এখতিয়ার, প্রশাসনের এখতিয়ার ক্ষমতা পরিধি গণপ্রতিনিধি বইয়ে পরিষ্কারভাবে লেখা আছে। তাই নির্বাচন প্রসঙ্গে অনিশ্চিয়তার প্রস্তাব যে ফখরুল (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগমীর) সাহেব দিয়েছেন এটা সঠিক নয়।
তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সংবিধানে কোনো অস্পষ্টতা নেই। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৫৬ এর ৪, ৫৭ এর ৩, ৫৮ এর ৩ এবং ৪ ধারায় নির্বাচনের সময় কারা ক্ষমতায় থাকবে সে প্রসঙ্গে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে। সেখানে পরিষ্কার বলা হয়েছে, পরবর্তী সরকার অর্থাৎ উত্তারিধীকার নির্ণয় না হওয়া পর্যন্ত আগের সংসদের সংসদ সদস্য থেকে আসা প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীরাই দায়িত্বে থাকবেন।
ইনু বলেন, সুতারাং মওদুদ ভাই (বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ) যেটা বলেছেন সেটা সঠিক নয়। সংবিধানে এ বিষয়ে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে। নির্বাচনের অব্যাহিত পূর্বে সরকারে কারা থাকবেন এবং কিভাবে থাকবেন সংবিধান পরিষ্কার এখতিয়ার দিয়ে দিয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস