বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৫:০৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
একলাফে ডলারের দাম ৭ টাকা বাড়ালো বাংলাদেশ ব্যাংক ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা : রুমানা আলী ভারতের পররাষ্ট্র-সচিবের সফরে সীমান্ত হত্যার প্রসঙ্গ তুলবে ঢাকা ভাঙা রেললাইনে বস্তা গুঁজে চলছে ট্রেন কেন্দ্র দখল করতে অর্ধশত ককটেল বিস্ফোরণ, সংঘর্ষে আহত ১৫ বুশরা বিবিকে বাড়ি থেকে কারাগারে স্থানান্তরের নির্দেশ আমি সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলে যাব: প্রধানমন্ত্রী ঝিনাইদহে ৫ ঘণ্টায় ৭ ভোট! ওমরাহ শেষে দেশে ফিরলেন মির্জা ফখরুল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংবাদ সম্মেলন বয়কট করলেন সাংবাদিকরা ইসরায়েলি বোমা হামলায় একই পরিবারের ৭ জন নিহত টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় জাহিদ মালেক ভোটার ২২৬৫ জন, চার ঘণ্টায় পড়েছে ৯০ ভোট ‘পরিবেশ রক্ষায় শামিল হবে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরাও’ ভোটকেন্দ্রে ২ পুলিশকে পেটাল প্রার্থীর সমর্থকরা কেন্দ্রের বাইরে ব্যালট পেপার সরবরাহ, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ আটক ২ রূপালী ব্যাংকে ইনোভেশন প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত আফতাবনগরে কোরবানির পশুর হাট বসানো যাবে না : হাইকোর্ট সম্পর্ক ভাঙার পরও শুটিংয়ে মুখোমুখি হন কারিনা-শাহিদ, যা বললেন পরিচালক

বিআরইবি: লক্ষ্যই যার গ্রামীণ জনগোষ্ঠির অর্থনৈতিক মুক্তি

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৭
  • ৩১০ বার পড়া হয়েছে
  • বর্তমানে গ্রাহক সংখ্যা ২ কোটি ৯ লাখ
  • সিস্টেম লস ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশে
  • ২০১৮ সালের মধ্যেই  ৪৬০টি উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়ন
  • বিআরইবি’র  লোকসান কাটাতে আমরা ট্যারিফ সমন্বয়ের প্রস্তাব রেখেছি

বাংলা৭১নিউজ, সাখাওয়াত হোসেন বাদশা: গ্রামীণ জনগোষ্ঠিকে সেবা দেওয়ার পাশা্পাশি গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি)। দেশের কৃষিখাতের উন্নয়নে বিআরইবি’র  অবদান উল্লেখযোগ্য। এসব লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রতিষ্ঠানটি বেশি দামে বিদ্যুৎ ক্রয় করে গ্রাহকদের কাছে কম মূল্যে বিক্রি করছে। যে প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্যই গ্রামীণ জনগোষ্ঠির অর্থনৈতিক মুক্তি, গ্রামের দরিদ্রজনগোষ্ঠির কাছে বিদ্যুৎ সেবা পৌঁছে দেওয়া-এমন একটি প্রতিষ্ঠানটিকেতো কল্যাণমুখি এসব কার্যক্রম সচল রাখতেই হবে। আর এসব কার্যক্রম সচল রাখতে যেয়ে যে পরিমান লোকসান দিতে হচ্ছে বিআরইবিকে, তা মোকাবেলায় প্রতিষ্ঠানটি নানামুখি প্রকল্পও গ্রহণ করেছে।

আর এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড নিরলসভাবে শ্রম দিয়ে যাচ্ছে। আসছে সফলতাও্। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে-সিস্টেম লস ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশে নামিয়ে আনা। বিদ্যুৎ সুবিধাভোগির সংখ্যা বাড়ানো, উপকেন্দ্র সংখ্যা বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ গ্রহণের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বিদ্যুৎ বিক্রির পরিমান বৃদ্ধি করা। বকেয়া বিলের পরিমান কমিয়ে আনা এবং অনিয়ম ও দূর্নীতি হ্রাস করা। টেন্ডার নিয়ে যে ঘাপলার প্রসঙ্গ আসতো, ই-জিপি টেন্ডার প্রক্রিয়া চালুর মাধ্যমে সেই অভিযোগও আর নেই বললেই চলে।

একথা অনস্বীকার্য যে, বিআরইবি’ই সরকারের একমাত্র প্রতিষ্ঠাণ যেটি সারাদেশে দ্রুততার সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ সেবা পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গিকার বাস্তবায়নে একনিষ্ঠতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। বিদ্যুত খাতে অপরাপর প্রতিষ্ঠাণগুলোর চেয়ে বিআরইবি’র সাফল্য অনেকটাই ঈর্ষনীয়। চলতি মাসের ১০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও ১০টি উপজেলা উদ্ধোধনের মধ্যে দিয়ে এ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি ১৫৭টি উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়িত করেছে। লক্ষ্য আগামী ২০১৮ সালের মধ্যে পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমের আওতায় দেশের ৪৬০টি উপজেলাকেই শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় নিয়ে আসা।

1490058413t

একনজরে দেখতে গেলে বিআরইবি’র সাফল্য অনেক। ১৯৭৮-২০০৮ পর্যন্ত গত ত্রিশ বছরে প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক সংখ্যা যেখানে ছিল ৭৪ লাখ, বিদ্যুৎ সুবিধাভোগি ছিল ২৮ শতাংশ, সাব স্টেশন ছিল ৪৬৫০টি, সাপ্লাই ক্যাপাসিটি ছিল ২ হাজার মেগাওয়াট, সিস্টেম লস ছিল ১৮ শতাংশ এবং বিদ্যুৎ বিক্রি ছিল ২৫০ কোটি টাকা। সেখানে ২০০৯ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ৮ বছরে প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১ কোটি ৩৫ লাখ। সব মিলিয়ে বিআরইবি’র মোট গ্রাহকসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৯ লাখে। একইভাবে ৮ বছরে বিদ্যুৎ সুবিধাভোগি ৪৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৭৭ শতাংশে। ৮ বছরে সাব স্টেশন বেড়েছে ৪৫৮০টি। বর্তমানে মোট সাব স্টেশনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯২৩০টিতে। আট বছরে সাপ্লাই ক্যাপাসিটি বেড়েছে ৬ হাজার ৭৬০ মেগাওয়াট। বর্তমানে মোট সাপ্লাই ক্যাপাসিটি দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৭৬০ম মেগাওয়াটে। গত আট বছরে সিস্টেম লস ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ কমেছে। এতে করে সিস্টেম লস ছিল ১৮ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশে। আর গত আট বছরে বিদ্যুৎ বিক্রি ১ হাজার কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে মোট বিদ্যুৎ বিক্রির পরিমান দাঁড়িয়েছে ১২৫০ কোটি টাকা।

জানা গেছে, বিআরইবি শুধুমাত্র সিস্টেম লস কমিয়েই ১২৫০ কোটি ৫০ লাখ টাকার অবাঞ্চিত লোকসান কমিয়ে এনেছে। সংশ্লিস্ট সূত্র মতে, ১ শতাংশ সিস্টেম লসের কারণে বিআরইবি’কে ১৫০ কোটি টাকা গচ্চা দিতে হয়। সে হিসাবে এখনও ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ সিস্টেম লসের কারণে বিআরইবি’কে বছরে লোকসান গুনতে হচ্ছে ১৪৭৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এছাড়াও বিআরইবি’কে ৩৪ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারির জন্য বছরে বেতন বাবদ ব্যয় করতে হয় ১৮০০ কোটি টাকা। এরপরও প্রতিষ্ঠানটি অনেক ঘাটতি জনবল নিয়েই আন্তরিকতার সাথে গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে যাচ্ছে।

বিআরইবি’র পরিসংখ্যান অনুযায়ি, প্রতিষ্ঠানটি পিজিসিবি ও পিডিবি’র কাছ থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ ক্রয় করে ৪ টাকা ৩৩ পয়সায়।অথচ বিক্রি করছে লোকসান দিয়ে। তবে লোকসানের মাত্রা গ্রাহক ভেদে একেকরকম। যেমন ১ থেকে ৫০ ইউনিট ব্যবহারকারি ৯০ লাখ গ্রাহকের কাছে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম নেয়া হয় ৩ টাকা ৭৪ পয়সা। এ ধরণের গ্রাহককে আরইবি লাইফ লাইনার হিসাবে চিহ্নিত করে। এ ধরণের গ্রাহকের জন্য প্রতি ইউনিটে লোকসান দিতে হয় ৫৯ পয়সা। বছরে লাইফ লাইন গ্রাহকদের কাছে আরইবি ৩১০ কোটি ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রি করে। এতে করে বছরে লাইফ লাইন গ্রাহকদের জন্য লোকসান দিতে হয় ১৮৫ কোটি টাকা।

উল্লেখ্য, লাইফলাইনভুক্ত গ্রাহকদের মধ্যে ২৮ লাখ হলো মিনিমাম বিলের আওতাধীন। বর্তমান ট্যারিফ ঘোষনার পূর্বে এ শ্রেনীর প্রতি গ্রাহকের মাসিক বিলের পরিমান ছিল ৯০ টাকা। বর্তমানে উক্ত শ্রেনী গ্রাহক এক ইউনিট ৩ টাকা ৭৪ পয়সা হারে প্রকৃত বিদ্যুৎ খরচের উপর বিল দিবে। এতে সরকার দরিদ্র শ্রেনীর বিলের উপর যথেষ্ট পরিমান ভর্তুকী দিচ্ছে। ফলে এ শ্রেনীর গ্রহকের জন্য বিআরইবি’কে পূর্বের তুলনায় ২০ কোটি টাকা অতিরিক্ত লোকসান দিতে হবে।

220160510154822

আবার ১ থেকে ৭৫ ইউনিট ব্যবহারকারি ৫২ লাখ গ্রাহকের কাছে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম নেয়া হয় ৪ টাকা। এ ধরণের গ্রহকের জন্য ইউনিট প্রতি লোকসান দিতে হয় ৩৩ পয়সা। প্রতি বছর এসব গ্রাহকদের কাছে আরইবি ৪৬০ কোটি ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রি করে। এতে করে বছরে এসব গ্রাহকদের জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে লোকসান দিতে হচ্ছে ১৫৪ কোটি টাকা।

অপরদিকে, বিআরইবি’র ৩ লাখ ১০ হাজার সেচ গ্রাহক রয়েছে। এসব সেচ গ্রাহকদের কাছে প্রতিষ্ঠানটি প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রি করে ৪ টাকায়। এ ধরণের গ্রাহকের জন্য প্রতি ইউনিটে আরইবি’কে লোকসান দিতে হয় ৩৩ পয়সা। বছরে এসব গ্রাহকদের কাছে প্রতিষ্ঠাণটি ৪৬০ কোটি ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রি করে। এতে করে সেচ খাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে যেয়ে বিআরইবি’কে বছরে লোকসান দিকে হচ্ছে ৪২ কোটি টাকা।

সরকার সেচ গ্রাহকদের এই ভর্তুকী দেওয়ার কারণে দেশ খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ন হচ্ছে। সেইসাথে চাঙ্গা হচ্ছে গ্রামীণ অর্থনীতি। পুরুষের পাশাপাশি নারীরা আরও অধিকহারে কর্মক্ষম হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ আশাতীতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ধান, স্বজ্বী, ডেয়রি ফার্ম, পল্ট্রি, ফিসারিজ, ইত্যাদি কৃষিদ্রব্যাদির উৎপাদন ও ব্যবহার প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা প্রকারান্তরে জাতীয় অর্থনীতির ভীতকে আর মজবুত করছে।

এ ব্যপারে জানতে চাইলে বিআরইবি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন  বাংলা৭১নিউজ ডটকমকে  বলেছেন, বাংলাদেশের সকল এলাকার সর্বস্তরের মানুষকে বিদ্যুৎ সেবার আওতায় আনার লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গিকার বাস্তবায়নে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম চলছে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে।

Banner-11

 

 

মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন  বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের প্রতিটি এলাকাকে বিদ্যুতায়নের আওতায় আনার স্বপ্ন দেখতেন। তিনি (বঙ্গবন্ধু) বলতেন, “বিদ্যুৎ ছাড়া কোন কাজ হয়না। কিন্ত দেশের ১৫ ভাগ লোক যে শহরের অধিবাসী সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা থাকিলেও শতকরা ৮৫ জনের বাসস্থান গ্রামে বিদ্যুৎ নাই। গ্রামে গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ করিতে হইবে। ইহার ফলে গ্রাম বাংলার সর্বক্ষেত্রে উন্নতি হইবে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও গ্রামে গ্রামে বিদ্যুৎ চালু করিতে পারিলে কয়েক বছরের মধ্যে আর বিদেশ হইতে খাদ্য আমদানী করিতে হইবে না।” বঙ্গবন্ধুর এই স্বপ্ন বাস্তায়নের লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ পৌঁছে দেয়ার মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। ইনশাআল্লাহ্ বিআরইবি এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দোরগোড়ায়। ২০১৮ সালের মধ্যেই আমরা ৪৬০টি উপজেলাকেই শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আনতে পারবো।

মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন  বলেন, ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে- ৪০ লাখ নতুন সংযোগ প্রদান, ৫০ হাজার কিলোমিটার বৈদ্যুতিক লাইন নির্মাণ করা, সিস্টেম লস ৯ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা, বকেয়া মাসের পরিমান ১.১০-তে নিয়ে আসা, ই-জিপি’র মাধ্যমে ক্রয় কাজ শতভাগ সম্পাদন করা, ৫টি সোলার চার্জিং স্টেশন স্থাপন করা এবং ২৫টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আইএসও সনদ অর্জন করা। তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে আমরা যেসব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছি তার মধ্যে রয়েছে-৩৬ লাখ নতুন সংযোগ প্রদান, ৩৬ হাজার ৫০০ কিলোমিটার বৈদ্যুতিক লাইন নির্মাণ, ৯২০ এমভিএ ক্ষমতাসম্পন্ন ৩৬টি উপকেন্দ্র নির্মাণ, সিস্টেম লস ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশে নামিয়ে আনা, বকেয়া মাসের পরিমান ১.১৩-তে নিয়ে আসা, ই-জিপি’র মাধ্যমে ২০৩০টি ক্রয় কাজ সম্পাদন করা, ৭টি সোলার চার্জিং স্টেশন স্থাপন এবং ১৬টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আইএসও সনদ অর্জন করতে পেরেছি।

image-47819

মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন  বলেন, আমাদের এখন অন্যতম কাজ হচ্ছে পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমকে আরও বেগবান করা। তিনি বলেন, আমরা বিদ্যুৎ চুরি রোধে নানামুখি পদক্ষেপ নিয়েছি। যার একটি পদক্ষেপ হচ্ছে সোলার চাজিং স্টেশন নির্মাণ। ইতোমধ্যেই ৭টি সোলার চাজির্ং স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে প্রতিটি সোলার স্টেশন থেকে দিনে শতাধিক ইজিবাইক ও ব্যাটারি চালিত রিক্সা চার্জ নিচ্ছে। গাড়ী প্রতি ৪০ টাকায় এসব স্টেশন থেকে ব্যাটারি চার্জ করা হয়। এধরণের কার্যক্রম বিদ্যুৎ চুরি রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখছে।

বিআরইবি চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের জনবল ঘাটতি রয়েছে। তবে জনবল ঘাটতি নিরসনে সরকার এই প্রতিষ্ঠানটিকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। বিআরইবি’র কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন বৃদ্ধিসহ আর্থিক সুুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। যাতে এখানে কর্মরতরা আরও একাগ্রতা, সততা ও নিষ্ঠার সাথে গ্রাহকদের সেবক হয়ে কাজ করতে পারে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির জনবল ঘাটতি কমাতে ইতোমধ্যে ৪৭৪টি পদেও সেটাপ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এজন্য আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞ।

সোলার চার্জিং স্টেশন

সোলার চার্জিং স্টেশন

মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন  বলেন, বিআরইবি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বার্থে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগ দেবে। গ্রামীণ শিল্প বিকাশ ও গ্রামীণ অর্থনীতির ভীতকে আরও মজবুত করতে বর্তমান সরকার এই পরিকল্পনা নিয়েছে। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ইতোমধ্যেই ৪২টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিদ্যুৎ সেবা দেয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে।

জনাব মঈন উদ্দিন  বলেন, বর্তমানে দেশের ৭৭ শতাংশ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় রয়েছে। আর জাতীয় হিসাবে ধরলে এই পরিসংখ্যান আরও কিছুটা বাড়বে। আমরা শতভাগ হিসাব ধরেছি, ৭ ভাগ অর্থাৎ ১০২৭টি গ্রামকে গ্রীড সুবিধার আওতার বাইরে রেখে। এগুলো আমাদের কাছে অফগ্রীড এলাকা। তারমানে এই নয় যে, এসব এলাকার মানুষ বিদ্যুৎ পাবে না। তিনি বলেন, এদের জন্য সরকারের সোলার প্রকল্প রয়েছে। অবশিষ্ট বিদ্যুৎ সুবিধা বঞ্চিত এলাকার জন্য প্রকল্প নেয়া হয়েছে। প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকার এসব প্রকল্প আগামী ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই সম্পন্ন হবে। এর মধ্যে দিয়েই আমরা প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ সম্পন্ন করবো ইনশাআল্লাহ্।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com