বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টসের (বিআরআইসিএম) বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মশিউর রহমানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিআরআইসিএমের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবাদ জানান তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসর ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মালা খান এবং তার সহযোগীদের বিআরআইসিএমের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হুমকি, অপহরণ এবং মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এই মালা খান ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রি ব্যবহার করে বিআরআইসিএমের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পান।
পরে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক পদও বাগিয়ে নেন তিনি। আওয়ামী সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে অত্যন্ত দাপটের সঙ্গে শত কোটি টাকার প্রকল্প বাগিয়ে নিয়ে কোটি টাকা লুটপাট করেন মালা খান। হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান পরিষদের সভাপতিও।
৫ আগস্টের আগে ছাত্র-জনতার আন্দোলন নস্যাৎ করার জন্য মালা খান ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বিআরআইসিএম প্রাঙ্গণে কয়েক দফা বৈঠক করেন। তখন বিআরআইসিএমের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও রিসার্চ ফেলোরা ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে সমর্থন করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তৎপর ছিলেন। এমন অবস্থায় তাদেরকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করারও হুমকি দেন মালা খান।
বক্তারা আরও বলেন, সম্প্রতি মালা খান গিরগিটির মত রঙ পালটে অন্যান্য দলের নেতাকর্মীদের পিছনে ছুটছেন। আর তার বিরুদ্ধে আন্দোলনে যাওয়া বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হয়রানি করে আসছেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার (২২ জানুয়ারি) তার সঙ্গে আপসের প্রস্তাব নাকচ করায় সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মশিউর রহমানকে।
প্রস্তাব দেওয়া হয় মালা খানের সঙ্গে বৈঠকের। কিন্তু রাজি না হওয়ায় মশিউর রহমানকে নিউ মার্কেট থানায় সোপর্দ করেন তারা। তখন গত ১৯ জুলাই বিসিএসআইআরের গাড়ি পোড়ানোর একটি মামলায় ১৬ নম্বর আসামি হিসেবে মশিউর রহমানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অথচ ওই মামলার প্রকৃত আসামিরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন।
তাই সরকারের কাছে আমাদের দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে মশিউর রহমানের মুক্তি ও মালা খানকে বরখাস্ত করে ১০ কর্মদিবসেরে মধ্যে তার বিরুদ্ধে আনীত দুর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত বিনা ব্যর্থতায় সম্পন্ন করে জাতির সামনে উপস্থাপন করতে হবে ও অভিযোগ প্রমাণ হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিআরআইসিএমের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, মুক্তার হোসেন, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রেদোয়ানুল ইসলাম, আয়েশা আক্তার লাবনী, মশিউর রহমানের স্ত্রী নাসরিন বেগম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএস