বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে দিল আইএস। ২২ মিনিটের ভিডিও প্রকাশ করে ভারতকে নিশানা বানানোর কথা ঘোষণা করেছে জঙ্গি সংগঠনটি। যে সব যুবকরা ভারত থেকে ইরাক বা সিরিয়ায় গিয়ে আইএস-এ যোগ দিয়েছে, তাদের দিয়েই ভারতের বিরুদ্ধে জেহাদের ডাক দেওয়ানো হয়েছে।
ভিডিও-তে ভারত আক্রমণের কারণও বাখ্যা করেছে আইএস।
বাবরি মসজিদ ধ্বংস হওয়া অন্যতম প্রধান কারণ বলে তারা জানিয়েছে। মুম্বই, গুজরাত, কাশ্মীর, মুজফ্ফরনগর, অসমে মুসলিম সম্প্রদায় গণহত্যার শিকার বলেও আইএস-এর দাবি। এই সব কিছু প্রতিশোধ নিতেই ভারত এ বার টার্গেট, ঘোষণা আবু বকর আল-বাগদাদির সংগঠনের। ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করানো হয়েছে এক ভারতীয়ের মুখ দিয়েই।
সে হল মহারাষ্ট্র থেকে সিরিয়ায় পালিয়ে যাওয়া ফাহাদ শেখ। ঠাণের ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র ফাহাদ ২০১৪ সালে সিরিয়ায় চলে যায়। ভিডিও-তে অবশ্য তাকে ফাহাদ শেখ বলে উল্লেখ করা হয়নি। আইএস-এ যোগ দেওয়ার পর তার যে নতুন নাম হয়েছে, সেই আবু আম্র আল-হিন্দি নামে তার পরিচয় দেওয়া হয়েছে।
আরবি ও উর্দু ভাষায় তৈরি এই ২২ মিনিটের ভিডিওটি শুক্রবারই প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, বারতে মুসলিমরা অপরিসীম কষ্টে রয়েছেন। ভারতীয় মুসলিমরা অন্য ধর্মের লোকজনের সঙ্গে যে ভাবে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেন, তার সমালোচনা করা হয়েছে আইএস-এর তরফে। আসাদুদ্দিন ওয়েইসি, বদরুদ্দিন আজমলের মতো রাজনৈতিক নেতা, জামা মসজিদের ইমাম মৌলানা সৈয়দ আহমেদ বুখারি-সহ বিভিন্ন ধর্মীয় নেতাদেরও কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে আইএস-এর তরফে।
ভারত থেকে পালিয়ে সিরিয়া যাওয়া পাঁচ মুখকেই মূলত তুলে ধরা হয়েছে ভিডিওতে। তার মধ্যে শুধু ফাহাদ শেখকেই স্পষ্ট ভাবে চিহ্নিত করা গিয়েছে। সে বলেছে, ‘‘আমরা ভারতে ফিরব। কিন্তু তলোয়ার হাতে ফিরব, বাবরি মসজিদ ধ্বংস, কাশ্মীর, গুজার, অসমে গণহত্যার প্রতিশোধ নিতে ফিরব।’’
আরও এক ভারতীয় জঙ্গিকে দেখানো হয়েছে ভিডিওতে। সে বলেছে, বাটলা হাউজ এনকাউন্টারের পর থেকে তার পক্ষে ভারতে থাকা কঠিন হয়ে গিয়েছিল। পরে সে মধ্য এশিয়ায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় এবং জেহাদে যোগ দেয়।
ফাহাদ শেখের সঙ্গে শামিম টংকি এবং আরিব মজিদ নামে দুই যুবকই ভারত থেকে সিরিয়ায় গিয়েছিল ২০১৪ সালে। ভিডিওয় জানানো হয়েছে, আইএস-এর রাজধানী রাকায় যুদ্ধের সময়ে শামিমের মৃত্যু হয়েছে। আরিব মজিদ আগেই ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র হাতে ধরা পড়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এম