বাংলা৭১নিউজ, রাজশাহী প্রতিনিধি: বান্ধবীকে ধর্ষণের অভিযোগে রাজশাহীতে এক কলেজ ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত সোমবার গভীর রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ বক্সের সামনে থেকে তাকে তার তিন সহযোগীসহ প্রথমে আটক করা হয়।
পরে মঙ্গলবার সকালে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় বান্ধবীকে ধর্ষণের অভিযোগে ভুক্তভোগীর দাদা বাদি অভিযুক্ত কলেজছাত্রের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত কলেজছাত্রের নাম শাওন হোসেন (২৩)। সে জেলার তানোর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে।
ধর্ষণের শিকার ওই কলেজছাত্রীর (১৯) বাড়িও একই এলাকায়। তারা দুজনই রাজশাহী শহরে থেকে কলেজে পড়াশোনা করেন।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমান উল্লাহ জানান, একই এলাকার বাড়ি হওয়ার সুবাদে ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে শাওনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। শাওন নগরীর সাগরপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। সোমবার দিবাগত রাতে শাওন ওই ভাড়া বাসায় মেয়েটিকে নিয়ে যান। এরপর রাতে একপর্যায়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এতে মেয়েটি গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। পরে রাত দেড়টার দিকে পাশের ছাত্রাবাসের দুই কলেজ ছাত্রের সহায়তায় শাওন তার বান্ধবীকে অচেতন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সেখানে কথাবার্তায় সন্দেহ হলে হাসপাতালের পুলিশ বক্সের সদস্যরা ওই তিন কলেজছাত্রকেই আটক করে। এরপর তাদের বোয়ালিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেয়েটির জ্ঞান ফিরলে শাওন তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে বলে জানায়। পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলেছেন, ধর্ষণের কারণে মেয়েটির প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।
ওসি জানান, এ ঘটনায় ওই কলেজছাত্রীর দাদা থানায় মামলা করেছেন। মামলায় শুধু শাওনকে আসামি করা হয়েছে। তাই আটক অন্য দুই কলেজছাত্রকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে অভিযুক্ত শাওনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস