বাংলা৭১নিউজ, রাজশাহী: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে বৌদ্ধ ভিক্ষু হত্যাকে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা উল্লেখ করে এ হত্যার এজন্য তার স্বজনদের দায়ী করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
আজ শনিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শিক্ষক-ছাত্র-সুধী সমাবেশের আয়োজন করে রাবি শিক্ষক সমিতি। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পুলিশের আইজিপি শহীদুল হক।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে মন্দিরে গলা কেটে হত্যা করা হয় চাকপাড়া বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ মং শৈ উ (৭০)কে। সকালে তার রক্তাক্ত লাশ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।
ভিক্ষু হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এর সঙ্গে তার (ভিক্ষু) আত্মীয়-স্বজন জড়িত রয়েছে বলে মনে করছি।
শিক্ষক হত্যাকাণ্ড বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রত্যেক হত্যাকাণ্ড তদন্তের মাধ্যমে বিচার করতে পেরেছি। একমাত্র সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের এখনও কোনো বিচার হয়নি। শিগগিরই গ্রেফতার হচ্ছে রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা। তাদের সনাক্ত করা গেছে। এ মামলার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। তবে তদন্তের সার্থে জড়িতদের নাম জানান নি মন্ত্রী।
শিক্ষক হত্যার বিচার না হলে শিক্ষার পরিবেশ স্বাভাবিক রাখা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। নিজেকে শিক্ষা পরিবারের সদস্য উল্লেখ করে তিনিও এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
সমবেশে পুলিশ প্রধান শহীদুল হক বলেন, অপরাধীদের কবে নাগাদ ধরা যাবে তা দিন-ক্ষণ উল্লেখ করে বলা সম্ভব নয়। তবে তদন্তে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। পুলিশ ঘটনার একেবারে কাছাকাছি পৌঁছেছে।
রাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো: শহিদুল্লাহর সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুহম্মদ মিজানউদ্দিন, উপউপাচার্য সারোয়ার জাহান, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ২৩ এপ্রিল রাজশাহী নগরীর শালবাগান এলাকায় নিজ বাড়ির অদূরে অধ্যাপক রেজাউলকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় উগ্রপন্থিরা জড়িত। তাদের সনাক্তও করা গেছে। এর আগে ঘটনার পরপরই দায় স্বিকার করে বিবৃতি দেয় আইএস। ঘটনার পর থেকেই বিচার দাবিতে আন্দোলনে নামেন রাবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বাংলা৭১নিউজ/বিএম