বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৩৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
যাত্রাবাড়ীতে বিপন্ন প্রজাতির হনুমান পাচারের সময় গ্রেপ্তার ২ ব্যারিস্টার আরমানের স্ত্রীকে হেনস্তা করিয়েছিলেন টিউলিপ: রিপোর্ট কামরুল-পলকসহ ৫ জন নতুন মামলায় গ্রেফতার বেনজীরের স্ত্রী ও মেয়ের আয়কর নথি জব্দের আদেশ ভৈরব থানার লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার অবশেষে মায়ের বুকে ছেলে পোষ্য কোটা বাতিলসহ ৯ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের অনশন বাঘাবাড়ী নৌবন্দর নাব্য সংকট, ভিড়তে পারছে না জাহাজ নিয়োগ দুর্নীতি : ওয়াসার তাকসিমসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা নির্বাচন সংস্কারে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের ১১ প্রস্তাব লন্ডনে পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া ট্রাম্পের মানচিত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অঙ্গরাজ্য কানাডা ২০২৪ সালে সড়কে নিহত ৭ হাজারের বেশি : রোড সেফটি ফাউন্ডেশন সিরিয়ার কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অভিযানের হুমকি তুরস্কের টিসিবির নতুন চেয়ারম্যান ব্রি. জেনারেল ফয়সাল আজাদ একনেকে ৪ হাজার কোটি টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন ঢাকায় ছিনতাই বেড়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করলেন ডিএমপি কমিশনার বিডিআরের নিরপরাধ সদস্যদের মুক্তির দাবিতে পদযাত্রায় পুলিশের বাধা রায়েরবাজারে পরিত্যক্ত অবস্থায় ২৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার ফেলানীর পরিবারের দায়িত্ব নিলেন আসিফ মাহমুদ

বান্দরবানে পাহাড়ধসে ৪ জনের মৃত্যু

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ৩ জুলাই, ২০১৮
  • ১৪৭ বার পড়া হয়েছে
ফাইল ছবি

বাংলা৭১নিউজ, বান্দরবান প্রতিনিধি: ভারি বর্ষণে বান্দরবানে পৃথক পাহাড়ধসের ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল ও দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে শহরের প্রধান সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় বান্দরবানের সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

জানা যায়, জেলার লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের কালাইয়াছড়া এলাকায় মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভারি বর্ষণে পাহাড়ধসে মাটির তৈরি গুদামঘরের নিচে চাপা পড়ে শিশুসহ একই পরিবারের ৩ জন।  খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। দীর্ঘ চেষ্টার পর ধসে পড়া পাহাড়ের মাটির নিচ থেকে ৩ জনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহতরা হলেন- মোহাম্মদ হানিফ, তার স্ত্রী রেজিয়া বেগম (২৫) ও শিশুকন্যা হালিমা আকতার (৩)।

লাশগুলো উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

অপরদিকে জেলা শহরের কালাঘাটায় মঙ্গলবার সকাল ১১টায় পাহাড়ধসে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত নারীর নাম প্রতিমা রাণী (৫০)।  তিনি কালাঘাটার বাসিন্দার মিলন দাশের স্ত্রী।

কেয়াজুপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ কাশেম আলী জানান, সরই ইউনিয়নের কেয়াজুপাড়া এলাকায় কালাইয়াছড়াতে বৃষ্টিতে পাহাড়ের একটি অংশ গুদামঘর ঝিড়িতে ধসে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে দুপুর আড়াইটার দিকে মাটির নিচ থেকে স্বামী, স্ত্রী ও তাদের কন্যাসন্তানের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।  লাশগুলো স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।

বান্দরবান ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রুপম কান্তি দাশ জানান, পাহাড়ধসে কালাঘাটায় মাটির নিচে চাপা পড়া নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দীর্ঘ তল্লাশির পর মাটির নিচে আর কেউ নিখোঁজ না থাকায় দুপুর দেড়টার দিকে উদ্ধার তৎপরতা সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।

বান্দরবানের মৃত্তিকা পানি সংরক্ষণ কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহাবুবুল ইসলাম জানান, গত রোববার থেকে বান্দরবানে অবিরাম ভারি বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। গত চব্বিশ ঘণ্টায় বান্দরবানে ১১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরও কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃষ্টিতে আরও পাহাড়ধসের শঙ্কা রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো থেকে লোকজনদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।

এদিকে অব্যাহত বর্ষণে জেলা শহরের মেম্বারপাড়া, আর্মীপাড়া, শেরেবাংলানগর, ইসলামপুরসহ আশপাশের এলাকায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

অপরদিকে বৃষ্টিতে বান্দরবান-কেরানীহাট সড়কের বরদুয়ারাসহ কয়েকটি স্থানে প্রধান সড়ক কয়েক ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। আর বালাঘাটায় পুলপাড়া বেইলি ব্রিজ খালের পানিতে ডুবে গেছে।  সড়ক ও বেইলি ব্রিজ তলিয়ে যাওয়ায় বান্দরবানের সঙ্গে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটিসহ সারা দেশের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

অন্যদিকে দলিয়ানপাড়াসহ কয়েকটি স্থানে পাহাড়ধসের কারণে রুমা উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

এদিকে টানা বর্ষণে সাঙ্গু নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর তীরবর্তী লোকজনেরা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়া শুরু করেছে। শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে প্লাবিত অঞ্চলের লোকজনেরা। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন জানান, পাহাড়ধসে লামা ও সদরে শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে বান্দরবান-কেরানীহাট সড়কের বাজালিয়ায় প্রধান সড়ক, বালাঘাটায় বেইলি ব্রিজ তলিয়ে বান্দরবানের সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় এবং ঘরবাড়ি থেকে লোকজনদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। জেলার সাতটি উপজেলায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।  সৌজন্যে: যুগান্তর অনলাইন।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com