বেইজিং-ওয়াশিংটনের মধ্য চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের মধ্যেই ২০২০ সালে বেড়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) এই তথ্য জানিয়েছেন চীনের কাস্টমসের সাধারণ প্রশাসনের মুখপাত্র লি কিউয়েন।
লি জানান, গত বছর চীন-মার্কিন এই দুই দেশের মধ্যকার আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৬৭২ বিলিয়ন ডলার। যা আগের বছরের তুলনায় ৮.৮ শতাংশ বেশি।
হিসাব বলছে, ২০২০ সালে চীনের মোট আমদানি-রপ্তানির ১২.৬ শতাংশই হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে। এর মধ্যে চীন, মার্কিন বাজারে রপ্তানি করেছে ৪৮৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য ও সেবা। যা ২০১৯ সালের তুলনায় ৮.৪ শতাংশ বেশি। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির তুলনায় দেশটি থেকে অনেক কম পরিমাণ পণ্য ও সেবা আমদানি করেছে চীন। তবুও তা আগের বছরের তুলনায় ১০.১ শতাংশ বেড়েছে। গত বছর যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনে গেছে ১৪৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য ও সেবা।
তবে, গত বছর চীন-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ কমেছে দশমিক ১ শতাংশ। এসময়, এই দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি হয়েছে ১৮০.৮ বিলিয়ন ডলারের। অস্ট্রেলিয়ার বাজারে গত বছর চীনের পণ্য ও সেবা ঢুকেছে ৫৭ বিলিয়ন ডলারের। যা আগের বছরের তুলনায় ১১.২ শতাংশ বেশি। অস্ট্রেলিয়া থেকে গত বছর পণ্য ও সেবা আমদানি ৪.৬ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে চীন। যদিও অস্ট্রেলিয়ায় রপ্তানির দ্বিগুণের বেশি পরিমাণ অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি করেছে চীন।
চীনের কাস্টমসের তথ্য বলছে, গত বছর চীনের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের মোট পরিমাণ ছিল ৪.৯ ট্রিলিয়ন ডলার। দ্বিপাক্ষিক এই বাণিজ্যের পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় ১.৯ শতাংশ বেশি। এসময় চীন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করেছে ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলারের সেবা ও পণ্য। যা ২০১৯ সালের তুলনায় ৪ শতাংশ বেশি। তবে, ২০১৯ সালের তুলনায় গত বছর চীনের আমদানি কমেছে দশমিক ৭ শতাংশ। এসময়, চীন আমদানি করেছে ২.২ ট্রিলিয়ন ডলারের পণ্য ও সেবা। হিসাব বলছে, গত বছর চীন আমদানির চেয়ে ৫৭২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য ও সেবা বেশি রপ্তানি করেছে। শতাংশের হিসাবে যা ২৭.৪ শতাংশ।
এ অবস্থায় লি জানান, চলতি বছরও ইতিবাচক প্রবৃদ্ধিতেই থাকবে বিশ্বের ২য় শীর্ষ অর্থনীতির দেশ চীন।
অবশ্য তার পাশে দাঁড়াচ্ছেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরাও। তারা বলছেন, চীনের রপ্তানি বাজার বাড়বে কারণ, স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীই দেশটির রপ্তানিকে এগিয়ে রাখবে। শুধু তাই নয়, বাড়ি থেকে অফিস করার জন্য দরকারি উপকরণ বিক্রিতেও এগিয়ে থাকবে চীন।
বাংলা৭১নিউজ/সর