গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসই দেশের শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতা ছিল। এরপরও দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। এতে এক সপ্তাহেই প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন প্রায় ৪০০ কোটি টাকা কমেছে।
গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬৫ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৯০৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৪৪২ কোটি টাকা।
বাজার মূলধন কমার পাশাপাশি গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে তার থেকে বেশি। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৭১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮৪টির। আর ২২৯টির দাম অপরিবর্তিত।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৪ দশমিক ৩০ পয়েন্ট বা দশমিক ২২ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ১০১ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহে কমেছে ১১ দশমিক ৮৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৫২ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৩০ দশমিক ৪১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩২ শতাংশ।
প্রধান ও ডিএসই-৩০ মূল্যসূচকের পাশাপাশি গত সপ্তাহে কমেছে ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক। গত সপ্তাহে এই সূচকটি কমেছে ৪ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৩২ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ১২ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৯ শতাংশ।
সবকটি সূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে গড় লেনদেনের পরিমাণ। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৭১৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ১ হাজার ১৬০ কোটি ২৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৪৪৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা বা ৩৮ দশমিক ২৩ শতাংশ।
আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৫৮৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ৫ হাজার ৮০১ কোটি ২৪ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ২ হাজার ২১৭ কোটি ৭২ লাখ টাকা বা ৩৮ দশমিক ২৩ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩২৭ কোটি ২১ লাখ ৫১ হাজার টাকা, যা মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২০৫ কোটি ৩৯ লাখ ৭১ হাজার টাকা। ১৭২ কোটি ১৫ লাখ ১১ হাজার টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সোনালী পেপার।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, ইস্টার্ন হাউজিং, এডিএন টেলিকম, ওরিয়ন ইনফিউশন এবং জেএমআই হসপিটাল অ্যান্ড রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ