শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
দ্বাদশ সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীদের জন্য ৯৪০ প্রশ্ন ভরিতে আরও ১৮৭৮ টাকা কমলো সোনার দাম সব প্রার্থী আমাদের কাছে সমান: ইসি আলমগীর টোল আদায়ে দুর্নীতি, দুদকের হস্তক্ষেপে ইজারা বাতিল রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশের পাশে আছে ইউরোপ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই আ.লীগ ক্ষমতায় এসেছে : কাদের এপ্রিলে নির্যাতনের শিকার ১৯৩ নারী-শিশুকন্যা ৯ মে পর্যন্ত চলবে সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ মৃত ব্যক্তিদের জাল সনদ: মিল্টন সমাদ্দারের ৩ দিনের রিমান্ড গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয়, উন্মুক্ত : তথ্য প্রতিমন্ত্রী যাত্রীবাহী বাস থেকে ৭টি স্বর্ণের বারসহ চোরকারবারি আটক আমন মৌসুম থেকেই চাল ছাঁটাই ও পলিশ বন্ধ করা হবে : খাদ্যমন্ত্রী টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ১০ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণের অভিযোগ আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে শনিবার থেকে খোলা স্কুল-কলেজ: শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইসলামী ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১২ কেজি এলপিজির দাম কমলো ৪৯ টাকা শেয়ার ছাড়বে রূপালী ব্যাংক নীলফামারীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

বাঘাবাড়ীর ৪ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৩টি বন্ধ, উত্তরাঞ্চলে সেঁচ মৌসুমে লোডশেডিংয়ের আশংকা!

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৮
  • ১৫০ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, শামছুর রহমান শিশির, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধ : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ী নৌ-বন্দরের পূর্ব পাশে অবস্থিত পিডিবি’র ৩টি ও বেসরকারি ১টি মিলে মোট ৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রেরই বিদ্যুৎ উৎপাদন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। ফলে এই তীব্র শীতের মধ্যেও শাহজাদপুরসহ উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় ব্যাপক হারে লোডশেডিং বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে এ অঞ্চলের জনজীবন দূর্বিসহ হয়ে উঠেছে। আসন্ন সেচ মৌসুমের আগে এই বিদ্যুৎ সংকট দূর না হলে ইরি-বোরোর চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যান্ত্রিক ক্রটি, ওভারহোলিং ও গ্যাস সংকটের কারণে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির উৎপাদন বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে। বাঘাবাড়ীর পিডিবির ৩টি বিদ্যুৎ উৎপাদন প্লান্টে প্রতিদিন ২২১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে। এর মধ্যে ফার্নেস ওয়েল ভিত্তিক ৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্লান্ট ১টি। গ্যাস ভিত্তিক ১০০ মেগাওয়াট ও ৭১ মেগাওয়াটের দুইটি। ছাড়া এর পাশে বেসরকারি মালিকানাধীন ইউনাইটেড গ্রুপের ওয়েস্টমন্ট পাওয়ার প্রাইভেট লিমিটেডের ৪৫ মেগাওয়াট করে ২টি ভাসসান বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিজয়ের আলো-১ এবং বিজয়ের আলো-২ বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র দুটি রয়েছে। বাঘাবাড়ীর এ প্লান্ট গুলো থেকে ৩১১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে যোগ হওয়ার কথা থাকলে শুরু থেকেই ওয়েস্টমন্ট পাওয়ার কোম্পানির ৪৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বিজয়ের আলো-১ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারলেও দ্বিতীয় ইউনিট বিজয়ের আলো-২ স্থাপনের পর থেকেই একদিনের জন্যও উৎপাদনে যেতে পারেনি। তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, পিডিবির ব্যয়বহুল ৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্লান্টটি শুধু সন্ধ্যায় চালু রাখা সম্ভব হলেও ১০০ ও ৭১ মেগাওয়াট এবং ওয়েস্টমন্টের ৯০ মেগাওয়াটের বিজয়ের আলো-১ ও বিজয়ের আলো-২ যান্ত্রিক ক্রুটির কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। পিডিবির বাঘাবাড়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মোস্তফা আল মামুন সাংবাদিকদের জানান,”বাঘাবাড়ী পিডিবির ১০০ মেগাওয়াট প্লান্টটি গত বছরের আগস্ট মাস থেকে যান্ত্রিক ক্রুটির কারণে এবং ৭১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্লান্টটি রুটিনওয়ার্কের অংশ হিসেবে ওভারহোলিংয়ের জন্য গত বছরের ১ অক্টোবর থেকে বন্ধ রয়েছে। তবে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুতের চাহিদার কথা বিবেচনা করে এখন প্রতিদিন সন্ধ্যার পর শুধু পিক আওয়ারে ৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্লান্টটি চালু করা হচ্ছে। পিকিং প্লান্টে প্রতি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় রাতের একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এটি চালু রাখা হয়।” বাঘাবাড়ি বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রের ম্যানেজার মোঃ ইবনুল হোসেন জানান, “যান্ত্রিক ক্রুটির কারণে ১০০ মেগাওয়াট প্লান্টটি খুব সহসা চালু করা সম্ভব না হলেও গ্যাস সরবরাহ ঠিকমত পাওয়া গেলে ৭১ মেগাওয়াট প্লান্টটি আগামী ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম দিকে চালু করা সম্ভব হতে পারে।” এদিকে বগুড়া ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সার্কেল (এনএলডিসি)-এর একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, বর্তমানে এই শীতে প্রতিদিন রাজশাহী বিভাগে ৮৮০ মেগাওয়াট ও রংপুর বিভাগে ৫২৭ মেগাওয়াট লোড ব্যবহার করা হচ্ছে। শীত চলে গেলেই গরমের সঙ্গে ইরিগেশন অর্থাৎ বোরো মৌসুম শুরু হবে। তখন রাজশাহী বিভাগে প্রতিদিন ১ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট ও রংপুর বিভাগে ৯৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের দরকার হবে। তাই গরম ও ইরিগেশন শুরুর আগেই বাঘাবাড়ীর বিদ্যুৎ প্লান্ট গুলো উৎপাদনে যেতে না পারলে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় লোডশেডিং প্রকট আকার ধারণ করবে। জানা গেছে,শাহজাদপুরসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন পয়েন্টে বেশ কয়েকটি পাওয়ার গ্রীড রয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানের বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রের উৎপাদিত বিদ্যুৎ উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন জাতীয় সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে এ সব গ্রীডে এসে থাকে। এ সব পাওয়ার গ্রিড থেকে আবার চাহিদা অনুযায়ী উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা গুলিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়ে থাকে। বাঘাবাড়ীতে অবস্থিত পিডিবির সব কয়টি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র আগামী এক মাসের মধ্যে চালু করা সম্ভব না হলে আসন্ন ইরি-বোরো চাষের সেচ মৌসুম ও তীব্র গরমের সময় বিদ্যুতের চাহিদা ব্যাপব হারে বেড়ে যাবে। তখন এ সব গ্রীড গুলোতে চরম ভাবে বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দেবে। আর এই বিদ্যুৎ ঘাটতি মোকাবেলায় গ্রীড গুলোর কর্মকর্তারা ব্যাপক হারে লোডশেডিং দিতে বাধ্য হবে। ফলে অসহনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। এ পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে ব্যার্থ হলে ভয়াবহ আকারে সেচ সংকট সৃষ্টি হবে। এতে ইরি-বোরোর উৎপাদনে চরম বিপর্যয় নেমে আসবে। তাই এক্ষুণি বাঘাবাড়ির সব গুলো বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র দ্রুত চালুর পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে বিজ্ঞমহল মনে করেন।

 

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com