বাংলা৭১নিউজ,বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটের রামপালে র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে হায়দার আলী নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এসময় বেশকিছু অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। শনিবার গভীর রাতে রামপাল উপজেলার সাপমারী এলাকায় তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকায় এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। তবে নিহত হায়দার আলীর বয়স আনুমানিক পঁয়ত্রিশ থেকে চল্লিশের মধ্যে। তাৎক্ষণিকভাবে র্যাব তার বিস্তারিত পরিচয় জানাতে পারেনি।
র্যাব-৮ এর উপ অধিনায়ক মেজর সজিবুল ইসলাম বলেন, রোববার বিকেলে সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের হাতে অস্ত্র ও গুলি দিয়ে সুন্দরবনের তিনটি বনদস্যু বাহিনীর সদস্যদের আতœসমর্পণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছিল। তারই অংশ হিসেবে র্যাবের একটি দল শনিবার দিনগত রাত তিনটার দিকে সুন্দরবনের বনদস্যুদের তিন বাহিনীর সদস্যদের রামপাল উপজেলার সাপমারী এলাকায় আনতে যায়। এসময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্ধকারের মধ্যে একদল দুর্বৃত্ত গুলি ছোড়ে। এসময় র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় দশ মিনিট গোলাগুলির পর ওই দুর্বৃত্তরা পিছু হটলে সেখান থেকে গুলিবিদ্ধ একজনের মরদেহ ও বেশ কয়েকটি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। পরে স্থানীয়রা এসে মরদেহটি হায়দার আলী নামের এক ব্যক্তির বলে সনাক্ত করেন।
নিহত হায়দার আলী সুন্দরবনের বনদস্যু দলের সক্রিয় সদস্য দাবি করে র্যাবের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, বনদস্যুরা যখন স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সরকারের কাছে আতœসমর্পণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেসময়ে দস্যুদের অতর্কিত হামলা আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। এই তিনটি বনদস্যু দলের সদস্যরা যাতে সুন্দরবনে দস্যুতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে না পারে তা ভেস্তে দিতে অজ্ঞাত বনদস্যু দল পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেন র্যাবের ওই কর্মকর্তা। কোন বনদস্যু দল এই হামলা চালিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস