বাংলা৭১নিউজ, বাগেরহাট: জেলার মোড়েলগঞ্জের পানগুছি নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪ নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও কমপক্ষে ১৩ যাত্রী এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
মোড়েলগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ, নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
ওসি রাশেদুল আলম জানান, ট্রলার ডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪ নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
তারা হলেন, মোড়েলগঞ্জ উপজেলার কালিকাবাড়ি গ্রামের মহসিন হোসেনের স্ত্রী বিউটি বেগম (৩৮), গুয়াবাড়িয়া গ্রামের হাসেম হাওলাদারের স্ত্রী পিয়ারা বানু (৫০) ও চিংড়াখালী গ্রামের ইউনুস আলীর স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৭৫) ও একই উপজেলার ফুলাতা গ্রামের নাদিরা বেগম ।
আজ বেলা ১১ টার দিকে খেয়া পারাপারের ইঞ্জিনচালিত একটি ট্রলার শতাধিক যাত্রী নিয়ে মোড়েলগঞ্জের পানগুছি নদীতে ডুবে যায়। মোড়েলগঞ্জের ছোলমবাড়ীয়া খেয়াঘাট থেকে দুটি যাত্রীবাহী বাস শতাধিক যাত্রী নিয়ে উপজেলা সদরের পুরাতন থানা ঘাটে যাবার পথে পানগুছি নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এর পরপরই ৩ নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। দুপুর পৌনে ২টার দিকে নাদিরা বেগম নামে আরো এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
আশংকাজনক অবস্থায় মোড়েলগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রেবেকা খাতুন (৪৭), খাদিজা বেগম (৪০), সাবেক পুলিশ সদস্য শাজাহান তালুকদার (৬৫), আবুল খায়ের খোকাকে (৫৫) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে ফুলহাতা গ্রামের নাসিমা বেগম (৩০) ও তার দুই বছরের সন্তান ভর্তি আছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস ও পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এদিকে, নদীর দু’পাড়ে নিখোঁজ স্বজনদের ভীড় বাড়ছে। তারা আহাজারি করছেন।
বাংলা৭১নিউজ/এন