বাগেরহাটে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষার হিসেবে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশ।
এটাই তৃতীয় ধাপে বাগেরহাটে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড। এই নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৭ হাজার ১২৫ জন।
এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৯৩৫ জন। নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন ১৯০ জন। এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৪৪ জন।
রোববার ২৩ জানুয়ারি বিকালে বাগেরহাটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাগেরহাটে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা। মাস্ক না পরা, স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত, হাত ধোয়ার অভ্যাস ত্যাগ ও সচেতনতার অভাবে বাগেরহাটে আক্রান্ত ও সংক্রমন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান।
সোমবার সকালে বাগেরহাট শহরে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। মানুষের মধ্যে মাস্ক পরে বাইরে যাওয়ার প্রবনতা কম। অনেকে মাস্ক পরলেও ঠিকমতো নাম মুখ ঢাকছেন না। দুর -দুরন্ত থেকে বাগেরহাট শহরে আসা লোকজন মাস্ক পরলেও স্থানীয়দের মধ্যে মাস্ক পরার সংখ্যা কম। তা ছাড়া শহরের ঘনবসতিপূর্ণ রেলরোড এলাকার নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে মাস্ক পরার প্রবণতা নেই বললেই চলে।
ডা. মো. হাবিবুর রহমান আরও বলেন, করোনা সংক্রমণ বন্ধে প্রথম থেকে মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। এ ছাড়া যাতে সব নাগরিক টিকা গ্রহণ করতে পারেন, সেই লক্ষ্যে আমরা প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম। এ পর্যন্ত বাগেরহাটে ১১ লাখ ২ হাজার ২৬৯ জনকে আমরা প্রথম ডোজ দিয়েছি। ২য় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৭ লাখ ৩ হাজার ৬২৪ জনকে। বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ২০ হাজার ৯০৫ জন।
শিক্ষার্থীদের টিকা দানেও এগিয়ে রয়েছে বাগেরহাট স্বাস্থ্য বিভাগ। রোববার পর্যন্ত বাগেরহাটে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৬১ শিক্ষার্থীকে প্রথম ডোজ এবং ৪৬ হাজার ৪৩৭ শিক্ষার্থীকে ২য় ডোজ দেওয়া হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ