বাংলা৭১নিউজ, পটুয়াখালী প্রতিনিধি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সামনে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে তা ঠিক নয়। ওই দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সূধী সমাবেশে পরিকল্পিতভাবে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের ১০নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের নিকটাত্মীয় বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা ওই হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন।
সোমবার বিকেল ৫ টার দিকে উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয় জনতা ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবী করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাউফল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব হাওলাদার।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা মোশারেফ হোসেন খান, সামসুল আলম মিয়া, ইব্রাহিম ফারুক ও আনিছুর রহমান প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে দাবী করা হয়, উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি শাহজাদা মিয়ার ছেলে যুবদল নেতা জায়েদ বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল এর চাচাতো ভাই। কতিপয় কাউয়া বা হাইব্রিড আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী এবং বাউফল থানা পুলিশের কয়েকজন সদস্যর সহযোগীতায় ওইদিন য্বুদল নেতা জায়েদ এর নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভায় পরিকল্পিতভাবে হামলা হয়েছে। সভাস্থলে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ দেখে এ ঘটনার প্রকৃত সত্য বের করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ, রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় নবনির্মিত বাউফল মডেল থানা ভবন যৌথভাবে উদ্বোধণ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্র্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আসম ফিরোজ এমপি। উদ্বোধণের পরপরই সূধী সমাবেশে বক্তব্য প্রদানের আগ মুহুর্তে চিফ হুইপ আসম ফিরোজ ও বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের সমর্থকরা শ্লোগান দেয়ায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস