বাংলা৭১নিউজ, পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফলে পাচারকারীর হাত থেকে সুমন ফরাজী (০৯) নামের এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে ধুলিয়া লঞ্চঘাট থেকে রাঙ্গাবালী-ঢাকাগামী অথৈ-২ নামের একটি দোতালা লঞ্চ থেকে ওই শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
এসময় আজাদ মুন্সী (৩৫) নামের এক পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শিশুটির বাবার নাম কালু ফরাজী। তার বাড়ি ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার চর মোতাহারের মুজিদ নগর গ্রামে। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে, ঘটনার দিন শিশুটি তার বাড়ির কাছে (সীমানাবর্তী) দশমিনা উপজেলার চর শাহজালাল অবস্থান করছিল।
সেখান থেকে আজাদ মুন্সী শিশুটিকে পাচারের উদ্দেশ্যে ফুসলিয়ে ওই উপজেলার হাজিরহাট লঞ্চ ঘাট নিয়ে যায়। সেখান থেকে শিশুটিকে রাঙ্গাবালী-ঢাকাগামী অথৈ-২ নামের একটি দোতালা লঞ্চ তোলা হয়। এরপর রুটির সাথে চেতনা নাশক ওষুধ দিয়ে শিশুটিকে ঘুম পরিয়ে রাখা হয়। আলআমিন নামের ওই লঞ্চের এক যাত্রী এ বিষয়টি টের পেয়ে লঞ্চ সুপারভাইজারকে অবহিত করেন।
এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই লঞ্চটি বাউফলের ধুলিয়া পল্টুনে ঘাট দিলে কালিশুরী ফাঁড়ির এএসআই সুরেশের নেতৃত্বে পুলিশ এস শিশুটিকে উদ্ধার করেন এবং পাচারকারী আজাদ মুন্সীকে গ্রেফতার করেন। তার বাবার নাম মৃত মান্নান মুন্সী। সরনখোলা উপজেলার তুষখালীর তালতলী হাটখোলা গ্রামে তার বাড়ি হলেও তিনি দীর্ঘ দিন ধরে ঢাকা বসবাস করছেন।
এ ব্যাপারে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্স (ওসি) আযম খান ফারুকী বলেন, ঘটনাস্থল দশমিনা উপজেলা হওয়ায় তাদেরকে সংশিষ্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস