বাংলা৭১নিউজ,এম.নাজিম উদ্দিন,পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বাউফলে বোরো (স্থানীয় উফসী) ধান বাম্পার ফলন হয়েছে। মাঠে ধান দেখে প্রান্তিক চাষী বেশ খুশি। বাজারে রয়েছে ধানের কদর ও ভালো দাম। প্রতি বছর চেয়ে এ বছর ধানের ফলন ভালো হয়েছে বলে কৃষক জানিয়েছে।
উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের সুলতানাবাদ গ্রামে আ: মন্নান ১২০ শতাংশ জমিতে বিনা গোল্ড (হাইব্রীড) ধান চাষ করছে। ২/১ দিনের মধ্যেই ধান কাটা শুরু করবেন বলে জানান। প্রতি শতাংশে ১ মন ধান উৎপাদন হবে বলে কৃষকের প্রত্যাশা। আ: মন্নান পেশায় একজন গাড়ী চালক।
উত্তরাঞ্চলে গাড়ী চালাতে গিয়ে ওই অঞ্চলে কৃষকের অভিজ্ঞতা নিয়ে এলাকায় ধান চাষ শুরু করে। ১২০ শতাংশ জমিতে ব্রী ধান চাষ করতে গিয়ে খরচ হয়েছে ১৬ হাজার টাকা। খোজ নিয়ে জানাগেছে, দ্বি ফসলী জমি রোপা আমনের আগেই ব্রী ধান ও বিনা গোল্ড/ বিনা ১০ চাষ করে কৃষক ফসল ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছে। অল্প সময়ে ৪ মাসে এ ফসল পাওয়া যায়।
বর্তমানে বাজারে বিনা গোল্ড ধানের বেশ কদর রয়েছে। তেমনি রয়েছে ভালো দাম। প্রতি মান ধান ১ হাজার থেকে ১১ শ টাকা। প্রান্তিক চাষী মন্নান একা নয়। তার সাথে উপজেলার প্রত্যেক গ্রামেই এ ধান চাষ করেছে। নাজিরপুর ইউনিয়ন উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা হোসনে আরা বেগম জানান, নাজিরপুর ইউনিয়নের ব্লক আওতায় ৫০ হেক্টও জমিতে বোরো চাষ করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে পরামর্শ পাশপাশি বীজ সার বিনামূল্যে কৃষকের মধ্যে সরবরাহ করা হয়েছে। এক সময় এতদাঞ্চলে আউশ, বোরো ইরি চাষ হতো। বর্তমান নানা প্রতিকুলতার কারনে এখন আর চাষ হয় না। জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সাথে কৃষক আবহাওয়া সাথে মিলিয়ে ধান চাষ করছে।
বাউফল কৃষি কর্মকর্তা অপূর্ব লাল সরকার জানান, উপজেলা মোট ১৪৭৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। গতবছরের তুলনায় এ বছর অনেক বেশি আবাদ হয়েছে। ব্লকে রাজস্ব প্রকল্পের আওতায় ব্রী ধান ৬৭ জাতের ধান বাম্পার ফলে এ এলাকার কৃষকদের আগামীতে বোরো মৌসুমে ধান আবাদের আগ্রহ বাড়বে বলে ধারণা করছি।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস