বাংলা৭১নিউজ, পটুয়াখালী প্রতিনিধি : জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এমপি’র পক্ষে বিপক্ষে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে। চীফ হুইপকে হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বাউফলে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অপরদিকে পৌর আওয়ামী লীগের ব্যানারে চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বিকালে থানার সামনে মানববন্ধন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক এবং মুক্তিযোদ্ধারা। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল পৌরশহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণের পর ইলিশ চত্বরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার সামসুল আলম মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন খান ও অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম,বাউফল মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারর্গীস আক্তার জাহান প্রমুখ।
সমাবেশে আগামী ১০ মার্চ শনিবার বাউফলের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৫ মিনিট শিক্ষা বিরতি ও বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষনা দেয়া হয়। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে সহ¯্রাধিক শিক্ষক ও মুক্তিযোদ্ধা অংশগ্রহণ করেন। এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে কুন্ডপট্টির পৌর আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য এসএম ইউসুফ বলেন, বুধবার (৭ মার্চ) বিকালে চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজের কর্মীরা পৌর আওয়ামীলীগ অফিসে ঢুকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ চলাকালীন অবস্থায় মাইক, প্রধানমন্ত্রীর ছবি ও আসবাবপত্র ভাংচুর করেছে।
এ সময় বাঁধা দিলে তারা অফিসের কেয়ার টেকার শাহআলমকে মারধর করে। বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে কৃষকলীগ নেতা এসএম ইউসুফ বলেন, চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ জনপ্রীয়তা হারিয়ে এখন নানান খেলা শুরু করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাউফল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মজিবুর রহমান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক জসিম উদ্দিন ফরাজী প্রমুখ। প্রসঙ্গত, বুধবার বিকালে বাউফল উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে শিক্ষা কমিটির সভা চলাকালে চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজের সঙ্গে দেখা করার জন্য আবুল বশার রনি নামের এক যুবক সভা কক্ষে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় নিরাপত্তারক্ষীরা ওই যুবককে আটকের পর তার দেহ তল্লাশী করে একটি ধারালো রামদা উদ্ধার করে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা দাবী করেন, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভায় হামলা এবং ২ জানুয়ারি বিলবিলাসে চীফ হুইপের ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা রায়হান সাকিবের বুকে পিস্তল ঠেকানো আর রামদা নিয়ে চিফ হুইপকে হত্যার প্রচেষ্টা একই সূত্রে গাঁথা।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস