বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: সরকারের নিষ্ক্রিয়তায় জঙ্গিবাদী উগ্রপন্থিরা মনে হয় দেশের কর্তৃত্ব গ্রহণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, সংগঠিত জঙ্গিরা দেশের মধ্যেই একের পর এক অভয়ারণ্য তৈরি করে যাচ্ছে। তাদের অস্তিত্ব ধ্বংস না হয়ে বরং আরো বেশি পুষ্টি লাভ করছে।
আজ ভোরে দুর্বৃত্তদের হামলায় ঝিনাইদহের করাতিপাড়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বী পুরোহিত আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলীকে গলা কেটে হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, দেশব্যাপী চলছে বেছে বেছে হত্যাকাণ্ড। আর এই হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছেন ভিন্নমতাবলম্বী, ব্লগার, ধর্মগুরু, পুরোহিত, যাজক, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সম্প্রদায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিদেশি নাগরিক, মসজিদের ইমাম-মোয়াজ্জিন, পীর ও পীরের শিষ্য, প্রকাশক, পুলিশ সদস্য ও পুলিশ সদস্যের পরিবার।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে পুলিশ সুপারের স্ত্রী মাহমুদা খানমকে হত্যা ঘৃণ্য ও কাপুরুষোচিত অমানবিক কাজ। নাটোরের খ্রিষ্টান মুদি দোকানি দানিয়েল গোমেজকে হত্যা নজিরবিহীন নৃশংসতা। এরই ধারাবাহিকতায় ঝিনাইদহের করাতিপাড়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বী পুরোহিত আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলীকে গলা কেটে পৈশাচিকভাবে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বিএনপির এই নেতা বলেন, জঙ্গিবাদের জীবনঘাতী আঘাতের পৌনঃপুনিকতা এখন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। এই হত্যাকাণ্ডগুলোর এখন কোনো বিরতি নেই। প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোনো না কোনো জনপদে দানবীয় আক্রমণের শিকার হচ্ছেন কেউ না কেউ।
তিনি বলেন, বিভিন্ন ধর্মসম্প্রদায়ের মানুষকে হত্যার ঘটনায় দেশবাসী আজ হাড় হিম করা আতঙ্কের মধ্যে দিনাতিপাত করছে। বাড়ির বাইরে বেরোলেই গা ছমছম করে। ভীতসন্ত্রস্ত মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
ফখরুল বলেন, দেশের মানুষের নিরাপত্তাহীনতায় ভ্রুক্ষেপ না করে সরকারের মন্ত্রী ও নেতারা তোতাপাখির মতো বুলি আওড়িয়ে যাচ্ছেন যে, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই আশাব্যঞ্জক, দেশে কোনো জঙ্গিবাদ নেই।
তিনি বলেন, কোনো কোনো মন্ত্রী-নেতারা বলেন, দেশে জঙ্গি নেই- এই শব্দটি নাকি বায়বীয়। সংঘটিত হত্যাকাণ্ডগুলোর পর সরকারদলীয় নেতা, মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য-বিবৃতি এবং বিরোধী দলের ওপর দায় চাপানোতে জঙ্গিরা আরো বেশি উৎসাহিত হচ্ছে।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস