সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ৭৩৫ জনের খসড়া তালিকা প্রকাশ শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশে সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে : রাষ্ট্রপতি শিশুর বিকাশের অন্তরায়গুলো চিহ্নিত করে সমাধানে বদ্ধপরিকর সরকার ৭ অক্টোবর বিশ্ব বসতি দিবসে সরকারের নানা কর্মসূচি গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও প্রায় অর্ধশত ফিলিস্তিনি প্রধান উপদেষ্টা নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট, ওএসডি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুন্নী সাহার ব্যাংক হিসাব তলব ভারতে পালানোর সময় সাবেক ভূমিমন্ত্রী আটক শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী গ্রেফতার টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে ভারত সরকারের প্রতি জি এম কাদেরের ত্রাণ সহায়তার আহ্বান ডেঙ্গুতে আরো ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১২২৫ বাজার মনিটরিংয়ে টাস্কফোর্স গঠন হচ্ছে : আসিফ ভারত থেকে এলো ২ লাখ ৩১ হাজার ডিম, পিস ৭.৫ টাকা কোনো নিরাপত্তাঝুঁকি নেই, নির্বিঘ্নে পূজা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সুদ মওকুফ করে ঋণ রিশিডিউল করার দাবি চামড়া ব্যবসায়ীদের ১০০০ আইটি ইঞ্জিনিয়ারকে প্রশিক্ষণ দিতে চায় জাইকা বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তায় সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসটিডি দুই জাহাজে অগ্নিকাণ্ড: নৌ-মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি গঠন

বাংলাদেশ সরকারের ভিত্তি ও মুজিবনগর দিবস

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপলোড সময় রবিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২২
  • ৫৬ বার পড়া হয়েছে

ইতিহাসের মহানায়ক আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ সংগ্রাম ও আন্দোলনের পথ বেয়ে জনযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নামক একটি জাতিরাষ্ট্রের অভু্যদয় ঘটে বিশ্বের মানচিত্রে। এর সুদীর্ঘ ইতিহাস কারো অজানা থাকার কথা নয়। স্বাধীন সার্বভৌম দেশের সরকারের জন্মলগ্ন ১০ এপ্রিল ১৯৭১ হলেও অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও মন্ত্রিপরিষদ শপথ গ্রহণ করে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল তদানীন্তন মেহেরপুর মহকুমার (বর্তমান মেহেরপুর জেলা) বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে। তাই ১৭ এপ্রিল একটি ঐতিহাসিক গৌরবোজ্জ্বল দিন। দিনট‌ি মুজিবনগর দিবস হিসেবে পালন করে আসছি।

যুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের প্রথম সদর দপ্তর ছিল এই বৈদ্যনাথতলার আম্রকানন। কুষ্টিয়া জেলার অন্তভু‌র্ক্ত মেহেরপুর মহকুমা (বর্তমানে জেলা) ছিল ভারতীয় সীমানার কাছাকাছি। অত্যন্ত ছিমছাম প্রকৃতির ছায়াঘেরা নয়নাভিরাম বৈদ্যনাথতলার আম্রকানন অনেকটাই নিরাপদ জায়গা ছিল। পুরো ৯ মাসের যুদ্ধেও এখানে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। ধরতে গেলে এই অঞ্চল মুক্ত ছিল।

বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী সদর দপ্তর ছিল ঠিক, তবে সরকার পরিচালিত হতো কোলকাতা থেকে। কোলকাতা ছিল সরকারের অস্থায়ী কার্যালয়। সেজন্য বলা হতো প্রবাসী সরকার। প্রবাসী বিপ্লবী সরকারের সদর দপ্তর হিসেবে কোলকাতাকে নিরাপদ মনে করা হয়। অন্যদিকে বৈদ্যনাথতলা মুজিবনগর হিসেবে নামাঙ্কিত হয়। অতঃপর ‘মুজিবনগর সরকার’-এর পরিচিতি অর্জন করে। এর পেছনে অনেক যৌক্তিক কারণ রয়েছে। যুদ্ধাবস্থায় একটি দেশকে সম্পূর্ণরূপে শত্রুমুক্ত করে নিয়ন্ত্রণে নিতে হলে নানা কৌশল অবলম্বন করতে হয়।

যুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের কাঠামো ছিল খুবই ছোট, তবে শক্তিশালী ও গোছানো। নিরাপত্তা ও যুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনার স্বার্থেই কোলকাতায় কার্যালয় স্থাপন করা হয়। কোলকাতা থেকে সরকার পরিচালনা করায় স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ও একশ্রেণির লোক এই সরকারকে নানাভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে বিভিন্ন অপপ্রচার চালায়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারকে কেবলই ‘মুজিবনগর সরকার’ নামে আখ্যায়িত করে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করলেও মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।

উল্লেখ্য, ২৫শে মার্চের ভয়াল রাতের পর আওয়ামী লীগের তদানীন্তন সেক্রেটারি তাজউদ্দীন আহমদ ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে ২৭ মার্চ প্রথমে ঝিনাইদহে যান। সেখানকার এসডিপিও মাহবুব আহমদ এবং মেহেরপুরের এসডিও তৌফিক এলাহী চৌধুরীর সহায়তায় সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে চলে যান। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু ২৫শে মার্চের রাত ১২টা ৩০ মিনিটে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন ২৬ মার্চকে।

এ রাতেই তাকে গ্রেপ্তার করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। বঙ্গবন্ধুবিহীন স্বাধীন বাংলাদেশ পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। বঙ্গবন্ধু তার ৭ মার্চের ভাষণে পুরো জাতিকে দিকনির্দেশনা প্রদান করে কীভাবে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে। যুদ্ধের রূপরেখা, পরিকল্পনা ঐ ভাষণে নিহিত ছিল। ৩০ মার্চ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ২ এপ্রিল দিল্লিতে গমন করেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা হয়।

পশ্চিমবঙ্গে তখন যুক্তফ্রন্ট সরকার ছিল। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার স্পিকার শ্রী অপূর্বলাল মজুমদার মহোদয় ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে নেতৃদ্বয়কে সাক্ষাতের সহযোগিতা করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মহীয়সী মানবিক নারী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী তাদের সব রকম সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন। লাখ লাখ শরণার্থী ভারতে আশ্রয়ের সুযোগ পায়। তাজউদ্দীন দিল্লি থেকে ফিরে এসে আওয়ামী লীগের এমএনএ এবং এমপিএদের নিয়ে কুষ্টিয়া জেলার সীমান্তে অধিবেশন আহ্বান করেন।

সেই অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে মুক্তিযুদ্ধ ও সরকার পরিচালনার জন্য মন্ত্রিপরিষদ গঠন করা হয়। এই মন্ত্রিপরিষদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি করে সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ঘোষণা করে। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান তাজউদ্দীন আহমদ। ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী, খন্দকার মোশতাক (যিনি পরবর্তী সময়ে বিশ্বাসঘাতকতা করেন এবং খুনি মোশতাক হিসেবে পরিচিতি পান) ও এইচ এম কামরুজ্জামানকে মন্ত্রী পরিষদ সদস্য করা হয়। এম এ জি ওসমানীকে প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত করা হয়।

নতুন সরকারের মন্ত্রিপরিষদ ও ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সবাই ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে শপথ গ্রহণ করেন, যা পূর্বে উল্লেখ করেছি। আম্রকানন হয়ে ওঠে বাংলাদেশের অস্থায়ী রাজধানী। স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র থেকে মন্ত্রিপরিষদ গঠনের ঘোষণা হলে সারা দেশবাসীর হূদয়ে উত্সাহ-উদ্দীপনা ও শক্তি সঞ্চারিত হয়।

যুদ্ধকালীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার খুবই সুসংগঠিত হয়ে প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে স্বল্প সময়ে যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া থেকে শুরু করে ভারতে আশ্রিত শরণার্থীদের ত্রাণের ব্যবস্থাসহ সরকারি যাবতীয় কাজ দক্ষতার সঙ্গে পালন করার রূপরেখা প্রণয়নে সক্ষম হয়।

দেশের অভ্যন্তরে লাখ লাখ মুক্তিপাগল ছাত্র-জনতা যুবাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে গেরিলা বাহিনী গঠন করে পাকিস্তানি দক্ষ ও প্রশিক্ষিত সেনাদের মধ্যে ত্রাসের সৃষ্টি করা বিস্ময়কর ব্যাপার ছিল। বাঙালি কত সাহসী এবং কতটা দেশপ্রেমিক তা যুদ্ধময় পরিস্থিতিতে প্রমাণিত হয়। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি জেলে থাকলেও তার নামের জাদুতেই যুদ্ধের শক্তি সঞ্চারিত হয়।

স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ সরকার গঠনকাঠামো ছিল খুবই মজবুত। যুদ্ধকালীন ৯ মাসে প্রবাসী সরকারের সিদ্ধান্তগুলো ছিল খুবই পরিপক্ব। দ্রুতগতিতে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ছিল অন্যতম বৈশিষ্ট্য। মুক্তিযুদ্ধ ছিল বাঙালির বাঁচা-মরার প্রশ্ন। লড়াইয়ে জেতার অঙ্গীকার ছিল। ন্যায়ের জন্য, সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য যে যুদ্ধ, সেই যুদ্ধে জেতার আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়ে যায় বাঙালির মনে। এই বিশ্বাসের বীজমন্ত্র তো বঙ্গবন্ধুই দিয়েছেন। বস্তুত মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা, যা মুজিবনগর হিসেবে বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত, এর মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রেখে পশ্চিম বাংলার কোলকাতায় অস্থায়ী সদর দপ্তর হিসেবে মুজিবনগর সরকারের কার্যক্রম পরিচালিত হতে থাকে।

এই সদরদপ্তরে যে শক্তিশালী প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল, সেটিই ছিল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক ভিত্তি। সেখানে সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরও প্রতিষ্ঠা করা হয়। ভারতের সহযোগিতায় এমন শক্তিশালী কাঠামো গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছিল। সরকারের সদর দপ্তরে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী যোগ দিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে বেসামরিক অনেক কর্মকর্তা তদানীন্তন পাকিস্তান সরকারের অধীনেই ছিলেন।

সুযোগ বুঝে সীমান্ত অতিক্রম করে তারা মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারে যোগদান করেন। পশ্চিম পাকিস্তান থেকেও অনেকে প্রবাসী সরকারে যোগ দেন। প্রবাসী সরকারের উদাহরণ পৃথিবীতে আরো রয়েছে। এমন সরকারের দপ্তর পরিবর্তনের ইতিহাসও আছে। যুদ্ধের স্বার্থেই প্রবাসী সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে। স্থান-কালভেদে প্রবাসী সরকারের চরিত্রের বিভিন্নতা লক্ষ করা যায়।

যেমন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জেনারেল চার্লস দ্য গলের স্বাধীন ফরাসি সরকার এবং পোল্যান্ডের প্রবাসী সরকার লন্ডনে তাদের প্রধান কার্যালয় স্থাপন করেছিল। সাম্প্রতিক কালের প্রবাসী সরকার পিএলও। পিএলওর সদর দপ্তর প্রথমে লেবাননের বৈরুতে, এরপর জর্দানের আম্মানে এবং সর্বশেষ তিউনিসিয়ার তিউনিসে সদর দপ্তর স্থাপন করা হয়েছিল।

পৃথিবীর অনেক দেশই পিএলওকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাদের কতৃত্বাধীন নিজস্ব কোনো ভূখণ্ড ছিল না। সুপ্রতিষ্ঠিত প্রবাসী সরকারে আরেকটি উদাহরণ হচ্ছে কম্বোডিয়ার প্রিন্স নরেন্দম সিহানুকের সরকার, যার সঙ্গে পলাপটের খেমুর রুজ (যা বিশ্বব্যাপী ধিকৃত ও নিন্দিত) যুক্ত ছিল। এদের সদর দপ্তর চীনের বেইজিংয়ে ছিল। আবার কখনো মার্টল্যান্ডে স্থানান্তর হতো। এ উদাহরণগুলো সংগত কারণেই দিতে হলো।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর যুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর বাংলাদেশ সরকারের সদর দপ্তর রাজধানী ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়। রাজনৈতিক নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে অনেক কণ্টকাকীর্ণ পথ অতিক্রম করে শেখ হাসিনা রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হন। স্বাধীনতার ৫১ বছরে পা রেখে আমাদের সাফল্য অর্জন গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার দাবি রাখে। বাংলাদেশ আজ সুপ্রতিষ্ঠিত এবং শক্তিশালী অর্থনীতির একটি দেশ হিসেবে পরিচিতি অর্জন করেছে। আমাদের মাননীয় প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের গুণেই আমাদের অবস্থান মর্যাদার শিখরে।

তিনি আমাদের স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে সঠিক ইতিহাসের ধারা বজায় রেখেই আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার প্রেরণা দিয়ে যাচ্ছেন। ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়েই বীরত্বের অভিধায় অভিষিক্ত হয়েছে বাঙালি। ইতিহাসের এমন ধারাপাতই আমাদের গৌরবান্বিত করেছে।

হ লেখক :খাদ্যমন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com