বাংলাদেশে পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে ভারতের হিন্দু জাতীয়তবাদী দল ‘হিন্দু মহাসভা’। সে কারণে বাংলাদেশ-ভারত সিরিজ শুরুর আগ থেকেই নানাভাবে হুঁশিয়ারি ও হুমকি দিয়ে আসছিল দলটির নেতারা।
কিন্তু সেটা আমলে না নিয়ে নিরাপত্তা জোরদার করে সিরিজ চালিয়ে যায় ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (বিসিসিআই)। শুক্রবার থেকে কানপুরে শুরু হবে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিতীয় টেস্ট। এটা শেষে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। যার প্রথম ম্যাচ হবে মধ্য প্রদেশের গোয়ালিয়রে।
এবার গোয়ালিয়রে বাংলাদেশ-ভারত টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচকে সামনে রেখে আগামী ৬ অক্টোবর ‘গোয়ালিয়র বনধ’ তথা কঠোর কর্মসূচির ডাক দিয়েছে হিন্দু মহাসভা। এদিন (৬ অক্টোবর) গোয়ালিয়রের শ্রীমন্ত মাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার কথা রয়েছে ভারত-বাংলাদেশের।
হিন্দু মহাসভার জাতীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট জয়বীর ভরদ্বাজ গতকাল সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) গোয়ালিয়রে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার বিরোধিতা করে বলেছিলেন, তারা চান না নির্মমভাবে হিন্দু নির্যাতনকারী কোন দেশের বিরুদ্ধে এখানে ম্যাচটি হোক। যেখানে এখনও দেশটিতে হিন্দু নির্যাতন চলছে সেখানে ভারত কিভাবে তাদের বিপক্ষে খেলে? এখানে খেলা ঠিক হবে না। এই ম্যাচ আয়োজন অনুচিত।
তাই তারা ম্যাচের দিন ‘গোয়ালিয়র বনধ’ তথা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, মেডিকেল সেরা ও জরুরি বিষয়াদি এই ধর্মঘটের আওতার বাইরে থাকবে বলেও জানিয়েছে তারা।
এখন দেখার বিষয় বিসিসিআই কিভাবে বিষয়টি সামাল দেয়। তারা কি ভেন্যু পরিবর্তন করে নাকি নিরাপত্তা বাহিনীর তত্ত্বাবধানে গোয়ালিয়রেই ম্যাচ আয়োজন করে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ