প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত নভেম্বরে তাঁর ফ্রান্স সফরের ফলাফলে সন্তোষ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, আগামী দিনগুলোতে দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরো জোরদারের বিষয়ে তিনি আশাবাদী।
আজ রবিবার গণভবনে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জিন-মারিন শুহ তার সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এ অভিমত ব্যাক্ত করেন। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, গত নভেম্বরে তার ফ্রান্স সফরের আলোচনা এবং ফলাফল নিয়ে তিনি সত্যিই খুব খুশি এবং আগামী দিনগুলোতে এই সম্পর্কের গতি বজায় থাকার বিষয়ে তিনি আশাবাদী।
প্রধানমন্ত্রী গত নভেম্বরে প্যারিস সফরে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান।
আলোচনায় শেখ হাসিনা বলেন, ফ্রান্সের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বন্ধন রয়েছে। ফ্রান্স সরকার ও জনগণ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে সমর্থন করেছিল।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, তার সরকার কোভ্যাক্সের অধীনে ১ দশমিক ২ মিলিয়ন কভিড-১৯ ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে।
ফরাসি রাষ্ট্রদূত বলেন, ফ্রান্স আগামী ফেব্রুয়ারিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সভাপতিত্ব নিতে যাচ্ছে এবং একই মাসে এই অঞ্চলের দেশগুলির সাথে একটি ইন্দো-প্যাসিফিক শীর্ষ সম্মেলন করতে চলেছে।
তিনি বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক সামিটে তারা বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানাবেন।
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ফ্রান্স ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি যৌথ ইশতেহার স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা দেশগুলোর সম্পর্কের অনেক দিককে কভার করেছে। ফরাসি রাষ্ট্রদূত চট্টগ্রামে অ্যালায়েন্স ফ্রান্সিস সম্প্রসারণ করতে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ