বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: বাংলাদেশে জনসংখ্যা সাড়ে ১৬ কোটি। অথচ এই বিপুল জনগোষ্ঠীর জন্য আছে দুই হাজারেরও কম ভেন্টিলেটর। এক বিবৃতিতে এ বিষয়ে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের অঙ্গ সংগঠন সেভ দ্য চিলড্রেন। নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
তারা বলেছে, প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীসহ কক্সবাজারে বসবাস করেন কমপক্ষে ৩৩ লাখ মানুষ। কিন্তু সেখানে কোনো ভেন্টিলেটরই নেই। তাই করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ও দেশে মানবিক বিপর্যয় এড়াতে বাংলাদেশে ভেন্টিলেটর সরবরাহের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তার জরুরি আহ্বান জানিয়েছে সেভ দ্য চিলড্রেন। এতে আরো বলা হয়েছে, আইসিইউ বেড এবং ভেন্টিলেটরগুলো রয়েছে রাজধানী ঢাকাসহ বড় বড় শহরে প্রাণকেন্দ্রে।
এর ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারীদের জন্য এর নাগাল পাওয়া কঠিন হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে আছে ১৭৬৯টি ভেন্টিলেটর অথবা তা পাইপলাইনে রয়েছে। এর অর্থ হলো, প্রতি ৯৩,২৭৩ জন মানুষের জন্য গড়ে একটি ভেন্টিলেটর আছে।
কক্সবাজারে বসবাসকারী প্রায় ৩৩ লাখ মানুষের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সেভ দ্য চিলড্রেন। এর মধ্যে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বসবাস করেন ঠাসাঠাসি করে শরণার্থী শিবিরে। সেখানে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যবিধি এবং স্বাস্থ্যসেবা সুবিধায় রয়েছে সীমাবদ্ধতা। জেলায় ভেন্টিলেটরের ভয়াবহ সঙ্কটের অর্থ হলো, যদি কভিড-১৯ ব্যাপক আকারে এই সম্প্রদায়ের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে তখন অকাতরে প্রাণ হারাবে মানুষ।
এ বিষয়ে সেভ দ্য চিলড্রেনের বাংলাদেশ শাখার ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. শামীম জাহান বলেন, কভিড-১৯ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে ভেন্টিলেটরের যে চাহিদা বাড়বে তা পূরণ করা বাংলাদেশের জন্য কঠিন বর্তমান অবস্থায়। কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের ভেন্টিলেটর সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য আমরা সরকারি ও বেসরকারি খাতের সঙ্গে সংযুক্ত হতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।
সেভ দ্য চিলড্রেনের রোহিঙ্গা রেসপন্স এডভোকেসি ম্যানেজার অ্যাথেনা রেবার্ন বলেন, কক্সবাজারে আইসিইউ সুবিধা না থাকার কারণে রোগীকে সঙ্কটজনক অবস্থায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে পাশর্^বর্তী চট্টগ্রাম জেলায় স্থানান্তর করতে হবে। এতে তাদের ও অন্যদের জন্য ঝুঁকি বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশের স্বাগতিক জনগোষ্ঠী ও রোহিঙ্গাদেরকে মানবিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করতে হলে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন ভেন্টিলেটর এবং তা চালানোর মতো প্রশিক্ষিত ব্যক্তি।
তিনি বলেন, ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে শিশুরা। যদি পরিবারের সদস্যরা এই ভাইরাসে সংক্রমিত হন অথবা মারা যান তাহলে শিশুরা হয়তো এতিম হবে অথবা তারা অবজ্ঞার শিকার হবে।
বাংলা৭১নিউজ/বিবৃতি