শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চট্টগ্রামের উন্নয়নে ৩ খাতে সিঙ্গাপুরের সহায়তা চাইলেন ডা. শাহাদাত তিনদিনের মধ্যে এনআইডির ক্যাটাগরি করতে ইসির নির্দেশ বান্দরবানে কেএনএ’র বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযান বেনাপোলে চালু হলো কার্গো টার্মিনাল, কমবে ভোগান্তি বাড়বে বাণিজ্য জাবি থেকে সরানো হলো শেখ মুজিবের ছবি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের লক্ষ্যে সংস্কার চান তারেক রহমান শহীদ আবদুল্লাহর বাড়িতে উপদেষ্টা সাখাওয়াত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিচিতি সভায় পদবঞ্চিতদের হামলা ৩০ নভেম্বরের পর আর হজের নিবন্ধন করা যাবে না প্রকৃতির পরিচর্যা করে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটাতে হবে : হাসান আরিফ ড. ইউনূসকে বই উপহার দিলেন ব্রাজিলের উপরাষ্ট্রপতির স্ত্রী ঢাবি ছাত্রদলের ২৪২ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ হিউম্যান রাইটসের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলে আহতদের পুনর্বাসন করা হবে: সালাউদ্দিন ঢামেকে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালন বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে শ্রম সংস্কারের প্রতিশ্রুতি ড. ইউনূসের জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে সোলাইমান বললেন, শেখ হাসিনা আবার আসবেন ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যাচার করছে এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ১ ডিসেম্বর, ফি বেড়েছে ১০০ টাকা কলকাতাগামী ইন্ডিগোর ফ্লাইটে বোমাতঙ্ক, ১৮৭ যাত্রী নিয়ে জরুরি অবতরণ

বাংলাদেশ : গণতন্ত্র রক্ষা বনাম গণতন্ত্র হত্যা

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১৮
  • ৯৪ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: ৫ জানুয়ারিকে আওয়ামী লীগ বিবেচনা করে ‘গণতন্ত্র  রক্ষা দিবস’ হিসেবে৷ আর বিএনপি’র কাছে দিনটি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’৷ দিনটি পালনে দু’টি রাজনৈতিক দলই নানা কর্মসূচি দিয়েছে৷ কিন্তু বিএনপি ঢাকায় সামাবেশের অনুমতি পায়নি৷

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট অংশ নেয়নি৷ তারা শুধু নির্বাচন বর্জনই নয়, প্রতিহতেরও ঘোষণা দিয়েছিল৷ তাদের দাবি ছিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন৷ তখন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই নির্বাচন হয়৷ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ও তার মহাজোটের শরিকরা অংশ নেয়৷ একতরফা নির্বাচনে সংসদের  মোট ১৫৪টি আসনে প্রার্থীরা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন৷ আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসে৷

এ বছরের ৫ই জানুয়ারির কর্মসূচি সম্পর্কে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘ঢাকাসহ সারাদেশে আমরা গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালনের কার্মসূচি নিয়েছি৷ প্রত্যেক জেলা, উপজেলা ও বিভাগীয় শহরে সমাবেশ ও কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছি৷ আমরা সোহরোওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম, সুযোগ পাইনি৷

এখন আমরা নয়াপল্টন বিএনপি অফিসের সামনে সমাবেশ করতে চাই৷ অনুমতি পাবো কিনা জানি না৷”

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জানা যায়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বিএনপি অফিসের সামনেও সমাবেশের অনুমতি দেয়নি৷ ৫ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি৷ সেখানে তারা বিস্তারিত জানাবে৷

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়৷ একতরফা ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দখল করে৷ দেড়শ’রও বেশি প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাশ করে, যা ছিল নজীরবিহীন৷ ওই সময় আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর নজীরবিহিন নির্যাতন চালনো হয়, মামলা দেয়া হয়৷ আর সংবিধান পরিবর্তন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিদায় করা হয়৷ আর এসব কারণেই আমরা ৫ জানুয়ারিকে গণতন্ত্র হত্যা দিবস হিসেবে পালন করি৷”

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আগামী জাতীয় নির্বাচনে আমরা অংশ নেবো৷ তবে আমরা চাই নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে৷ শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে কোনো নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়৷ আমরা এজন্য আলোচনা শুরুর আহ্বান জানিয়েছি৷ আলোচনায় না হলে জনগণকে নিয়ে রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমেই দাবি আদায় করা হবে৷”

৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র রক্ষা দিবস পালনে আওয়ামী লীগ ঢাকাসহ সারাদেশে আনন্দ মিছিল ও আনন্দ র‌্যালির কর্মসূচি দিয়েছে৷ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে রাজধানীতে দু’টি আনন্দ সমাবেশ হবে বলে ডয়চে ভেলেকে জানান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ৷ তিনি বলেন, ‘‘জেলা, উপজেলা ও বিভাগীয় শহরে একই ধরণের কর্মসূচি দেয়া হয়েছে৷”

৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র রক্ষা দিবস কেন– জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি-জামায়াত জোট তখন ঢাকাসহ সারাদেশে হত্যা এবং নাশকতা চালিয়েছে৷ পুলিশ হত্যা করেছে৷  তারা চেয়েছিল, নির্বাচন বানচাল করে দেশে একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে৷ গণতন্ত্র ধংস করতে৷ ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের সেই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে৷ গণতন্ত্র রক্ষা পেয়েছে৷”

তিনি বলেন, ‘‘সংবিধানের প্রয়োজনে, দেশের প্রয়োজনে ওই নির্বাচন অপরিহার্য ছিল৷ ওই নির্বাচন না হলে দেশে সাংবিধানিক সংকট হতো৷ দেশ সংকটে পড়তো৷ বিএনপির জাতির কাছে এখন ক্ষমা চওয়া উচিত৷ তারা ওই নির্বাচন বানচাল করে দেশকে যে সংকটে ফেলতে চেয়েছিল, তার জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত৷”

আরেক প্রশ্নের জবাবেব তিনি বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে৷ নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন৷ আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে৷ আশা করি, সব দল নির্বাচনে অংশ নেবে। বিএনপি বা অন্য কোনো দল নির্বাচনে না এলে, তাদের নির্বাচনে আনার দায়িত্ব আওয়ামী লীগের না৷”

বাংলা৭১নিউজ/সূত্র: ডয়চে ভেলে/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com