শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৫:১৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
দ্বাদশ সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীদের জন্য ৯৪০ প্রশ্ন ভরিতে আরও ১৮৭৮ টাকা কমলো সোনার দাম সব প্রার্থী আমাদের কাছে সমান: ইসি আলমগীর টোল আদায়ে দুর্নীতি, দুদকের হস্তক্ষেপে ইজারা বাতিল রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশের পাশে আছে ইউরোপ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই আ.লীগ ক্ষমতায় এসেছে : কাদের এপ্রিলে নির্যাতনের শিকার ১৯৩ নারী-শিশুকন্যা ৯ মে পর্যন্ত চলবে সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ মৃত ব্যক্তিদের জাল সনদ: মিল্টন সমাদ্দারের ৩ দিনের রিমান্ড গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয়, উন্মুক্ত : তথ্য প্রতিমন্ত্রী যাত্রীবাহী বাস থেকে ৭টি স্বর্ণের বারসহ চোরকারবারি আটক আমন মৌসুম থেকেই চাল ছাঁটাই ও পলিশ বন্ধ করা হবে : খাদ্যমন্ত্রী টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ১০ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণের অভিযোগ আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে শনিবার থেকে খোলা স্কুল-কলেজ: শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইসলামী ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১২ কেজি এলপিজির দাম কমলো ৪৯ টাকা শেয়ার ছাড়বে রূপালী ব্যাংক নীলফামারীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

বাংলাদেশে আইএস’র কোন ঘাঁটি নেই : সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৬
  • ১১৭ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ এখন আর সন্ত্রাসবাদ রপ্তানিকারক দেশ নয়। বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) কোনো ঘাঁটিও নেই। মানবতাবিরোধীদের বিচার বানচালের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে জঙ্গিদের ডেকে আনা হয়েছিল।

ভারতের ইংরেজি দৈনিক দ্য হিন্দুকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। আজ শুক্রবার দ্য হিন্দু এই সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে।

প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সন্ত্রাসবাদ দমন বিষয়ে সহযোগিতার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশে ঘাঁটি গড়তে পারবে না। আমরা যেসব পদক্ষেপ নিয়েছি, তার ফলও পাচ্ছি। আমাদের সীমান্তে আগে প্রায় প্রতিদিন সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটত, বোমা ফাটানো হতো—আমরা সেগুলো নিয়ন্ত্রণে এনেছি। আমরা কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে অন্য দেশে হামলা চালানোর জন্য আমাদের মাটি ব্যবহার করতে দেব না। বাংলাদেশ আর সন্ত্রাসবাদ রপ্তানিকারক দেশ নয়; অস্ত্র পাচারের জন্য নিরাপদ রুটও নয় বাংলাদেশ।’

গুলশানে হলি আর্টিজানে হামলা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, হামলাকারীদের কেউ কেউ আইএসের অনুসারী হতে পারে। তবে বাংলাদেশে আইএসের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি নেই। বাংলাদেশে আইএস ক্যাম্প আছে—এমন প্রমাণ কারও কাছে থাকলে তাদের উচিত আমাদের কাছে সেই প্রমাণ তুলে দেওয়া। আমরা হামলাকারীদের চিহ্নিত করেছি। তারা স্থানীয়। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করতে এদের সারা বিশ্ব থেকে ডেকে আনা হয়েছে।’ তিনি বলেন, বিএনপি যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের পৃষ্ঠপোষক।

shake-pm20160827171121

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জঙ্গিবাদ এখন বৈশ্বিক সমস্যা। গুলশান হামলার পর এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কিছু ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ নিতে চেষ্টা করছি। এর বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তুলতে আমরা স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি। এর পরেই অভিভাবকদের বলেছি তাঁদের সন্তানেরা কী করে, সেদিকে নজর রাখতে। মসজিদের ইমাম ও মাদ্রাসাগুলোকে বলেছি, তারা যেন প্রচার চালান যে ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামে সহিংসতার কথা বলা নেই। উগ্রবাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের সচেতনতা ও সামাজিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের সন্তানদের জঙ্গি হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে পারি।’

যুদ্ধাপরাধের বিচারে পাকিস্তানের মন্তব্য করাকে অগ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় সার্ক সম্মেলন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নাম প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। কারণ, আমরা মনে করি, সার্ক অঞ্চলে এই মুহূর্তে যে ধরনের পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তা সার্ক সম্মেলনের জন্য সহায়ক নয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিষয়ে বাংলাদেশের সংবেদনশীলতা রয়েছে। সেখানে ট্রাইব্যুনালের বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে পাকিস্তান অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। এমনকি বিষয়টি দেশটির পার্লামেন্টেও তুলেছে। পাকিস্তান এ বিষয়ে অগ্রহণযোগ্য মন্তব্য করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে। আমরা এতে মর্মাহত।’

পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ভারতের হামলার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন কি না, জানতে চাইলে শেখ হাসিনা বলেন বলেন, ‘আমি মনে করি, দুই দেশেরই তাদের নিয়ন্ত্রণ রেখা (লাইন অব কন্ট্রোল) বজায় রাখা উচিত। এটা বজায় রাখলেই শান্তি আসবে।’

সাক্ষাৎকারে জাতীয় নির্বাচনের প্রসঙ্গও উঠে আসে। দ্য হিন্দুর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে লড়াই করেছেন। অথচ আপনি এখন এমন একটি সংসদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যেখানে বিরোধী দল নেই। আগামী নির্বাচনে কী বিরোধী দল হিসেবে বিএনপিকে আনতে পারবেন?

জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আমি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ফোন করি। কিন্তু তিনি যতটা পারা যায় রূঢ় আচরণ করেছেন আমার সঙ্গে। এমনকি তাঁর ছেলের মৃত্যুর পর সহানুভূতি জানানোর জন্য তাঁর বাড়ি গিয়েছিলাম। অথচ তিনি দরজা খোলেননি। মানুষ হিসেবে আমি আর কীই-বা করতে পারি? নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো ছিল বিএনপি ভুল সিদ্ধান্ত। আশা করি, পরবর্তী নির্বাচনে তিনি সে ভুল করবেন না। তাঁর এই দুষ্কর্মের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলা কিছুতেই আমি বরদাশত করব না।’

বাংলা৭১নিউজ/সূত্র:ভারতের ইংরেজি দৈনিক দ্য হিন্দু

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com