বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা:‘স্ট্রোক: অধিক সচেতনতা এবং দ্রুত চিকিৎসা’ শীর্ষক এক সেমিনারে আলোচকবৃন্দ বলেছেন, বাংলাদেশে মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ হচ্ছে স্ট্রোক। তবে এর উন্নত চিকিৎসা এখন এদেশেই সম্ভব। রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হলে ব্রেইন ডেমেজ, স্ট্রোক এর জটিলতা প্রতিরোধ, বিকলাঙ্গতা এবং পুনরায় স্ট্রোক ঝুঁকি থেকে রক্ষা করা সম্ভব।
আজ শনিবার বিকালে ইমপালস্ হাসপাতাল অডিটরিয়ামে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ইমপালস্ হাসপাতাল ও ডেইলি বাংলাদেশ পোষ্ট যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইমপালস হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট (নিউরোলজিস্ট অ্যান্ড স্ট্রোকের হেড) ডাঃ মো শহীদুল্লাহ (সবুজ)। উদ্ধোধনী বক্তব্য রাখেন ইমপালস হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডা: জাহীর আল আমীন।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, দেশে হাসপাতালগুলোতে যত রুগি মারা যায় তার ২০ ভাগই মারা যায় স্ট্রোকে। এ পরিসংখ্যান সরকারি হাসপাতালের। তবে বেসরকারি হাপাতালের পরিসংখ্যান আমাদের কাছে নেই। স্ট্রোকের চিকিৎসা যে এত সহজলভ্য তা আমাদের আগে জানা ছিল না। এ চিকিৎসা কীভাবে সাধারণ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া যায় এবং এই রোগের ঔষধ কমমূল্যে কীভাবে রোগিদের সরবরাহ করা যায় এব্যপারে আমরা ইমপালস্ হাসপাতালের সাথে কথা বলে বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণ করবো।
স্ট্রোকের বিষয়ে আলোচকবৃন্দ বলেন, স্ট্রোক হলে মাথা ঝিমঝিম করা, প্রচন্ড মাথা ব্যথার সাথে ঘাড়, মুখ এবং দুই চোখের মাঝখান পর্যন্ত ব্যথা হওয়া, হাঁটতে কিংবা চলাফেরা করতে এবং শরীরের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমস্যা হওয়া, কথাবার্তা জড়িয়ে যাওয়া এবং অস্পষ্ট শোনানো, শরীরের একপাশে দূর্বল, অসাড় কিংবা প্যারালাইজড হয়ে যাওয়া, চোখে অস্পষ্ট দেখা, অন্ধকার দেখা কিংবা ডাবল ডাবল দেখা, বমি বমি ভাব কিংবা বমি হওয়া ইত্যাদি।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান তথ্য কর্মকর্তা কামরুন নাহার। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন- ইমপালস হাসপাতালের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা: ওয়াদুদ আলী খান, হাসপাতালের সিওও ডাঃ দবির উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ পোষ্ট এর প্রধান সম্পাদক শরীফ শাহাবুদ্দিন, ডা: অধ্যাপক আনিসুল হক, আইসিটি বিভাগের পরামর্শক অজিত কুমার সরকার, ডা: শামসুল হক প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/এসএস